বুধবা, ০৯ অক্টোব ২০২৪, সময় : ১০:২৫ am
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম জং উন’র বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন এক ‘বিদ্রোহী’। পালিয়া আসা এক তরুণী ইয়োনমি পার্ক অভিযোগ করলেন কিম প্রতি বছর তার ‘মনোরঞ্জন’ করার জন্য বেছে নেন ২৫ তরুণীকে। তার আর এই ‘অভ্যাস’উত্তরাধিকার সূত্রে। কিমের বাবা কিম জং ২ নাকি বিশ্বাস করতেন কমবয়সি মেয়ের সাথে ঘনিষ্ঠতা তাকে অমরত্ব দেবে।
ইয়োনমি জানান, মেয়েদের বেছে নেয়ার সময় দেখা হয় তাদের শারীরিক সৌষ্ঠব। দেখা হয় তারা কুমারী কিনা। এর পাশাপাশি প্রত্যেকের পারিবারিক দিকটিও খতিয়ে দেখেন। তবে ২৫ পেরিয়ে গেলেই আর তাদের আর রাখা হয় না। এমনকী তাকেও দু’বার ডাকা হয়েছিলো বলে দাবি অভিযোগকারির। শেষপর্যন্ত তার পরিবারের কারণে তাকে নির্বাচিত করা হয়নি। তার দাবি, দলাই মলাই করা থেকে নাচ-গান এবং শরীরী সংসর্গ সব রকম ভাবেই তাকে তুষ্ট করতে হয় ওই তরুণীদের। রীতিমতো খুঁজেপেতে তাদের সন্ধান করে কিমের স্যাঙাৎরা। শুধু কিম নয়, উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের লালসার শিকারও হতে হয় ওই তরুণীদের।
কিম জং উনের অমানবিক মানসিকতার কথা সারা বিশ্বের জানা। করোনাকালে অর্থনৈতিক সংকট বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রচুর মানুষ দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। সেই সময় তাদের দিয়ে এতটাই পরিশ্রম করানো হচ্ছিলো যে কিছুদিনের মধ্যেই প্রাণ হারাচ্ছিলেন সেইসব মানুষগুলো। এরপর তাদের মৃতদেহ মাটি চাপা দিয়ে জৈব সার তৈরি করে ফুল চাষ করা হচ্ছিলো। মানবাধিকার ভঙ্গ করার এমন নজির একাধিবার প্রকাশ্যে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে এবার উঠলো এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। রা/অ