শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:৫২ pm
শহিদুল ইসলাম (নিজস্ব প্রতিবেদক) নাচোল :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় নারীর প্রতি জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার ২৪ এপ্রিল সকল ১০ টায় উপজেলা পরিষদের বিআরডিবি হলরুমে, সিসিডিবি- সিপিআরপি নাচোল অফিসের আয়োজনে, লক্ষীপুর মহিলা সমবায় সমিতির সভানেত্রী শেফালী বেগমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দুলাল উদ্দিন খাঁন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা প্রভাতী মাহাতো, সমবায় কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, সিসিডিবি-সিপিআরপি এরিয়া ম্যানেজার মায়া রানী দাস, নাচোল ডায়াবেটিক সমিতি ও নাচোল উপজেলা প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম, নাচোল রিপোর্টার্স ইউনিটি সেক্রেটারি একেএম জিলানী, সিসিডিবি- সিপিআরপি প্রোগ্রাম ম্যানেজার সুদীপ মণ্ডল ও সমাজ সংগঠক রাজীব কুমার প্রামানিক। এছাড়াও সিসিডিবি-সিপিআরপি মহিলা সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বাল্যবিয়ের কুফল নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করেন এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে বাল্য বিয়ের কুফল নিয়ে সমাজের সর্বস্তরের জনসচেতনতা তৈরির জন্য আহ্বান জানান। নারী নির্যাতন রোধ শুধু নারীর বিষয় নয় । এটা পরিবার ও সমাজের বিষয়। বিভিন্ন সভা সেমিনারে আলোচনা হয়ে থাকে যে কোন সমাজের জন্য জেন্ডার বেজড ভায়োলেন্স একটা জটিল বিষয়।
আমাদের হতাশ হওয়ার কিছুই নেই অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আইনগত কাঠামো গত ও ব্যবস্থাপনার জায়গা থেকেই পরিবর্তন হয়েছে। আমরা বারবার পরিবার ও সমাজের মধ্যে আটকে যাচ্ছি। পরিবার ও সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি যদি না বদলায় তাহলে এগোতে পারবো না। ভালো পরিবেশ পেলে নারীরা সবার সঙ্গে কাজ করতে পারবে।
নারীকে প্রথমেই ভাবতে হবে যে, তিনি মানুষ একজন মানুষের যা অধিকার আছে একজন নারীরও সে অধিকার আছে।
ছেলেদের আলাদা রাখলে হবে না। নারী নির্যাতন রোধে ছেলে ও অভিভাবক সবাইকে নিয়ে সভা, সেমিনার, কর্মশালা, মতবিনিময় করতে হবে। আমরা সকলে মিলে একসঙ্গে প্রতিবাদ করি তাহলে পরিবর্তন আসতে পারে।
আমরা চাই সহিংসতার স্বীকার হয়ে নারীরা আইনের আশ্রয়ে কম যাক। ছেলে-মেয়ে, নারী-পুরুষ সবাইকে নিয়ে কর্মশালা করতে হবে। আমরা পরিবারে একটা শান্তি ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করতে চাই। সারা দেশে মেয়েরা এখন শিক্ষাই ভালো করছেন। কিন্তু সবাই কর্ম ক্ষেত্রে আসছেন না। অনেকে হয়তো এখনো নিরাপত্তাহীনতার কথা ভাবছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হয়রানির শিকার নারীকে সুরক্ষা দেওয়া এখন কঠিন হয়েছে। কারণ অপরাধিকে ধরতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হয়। ততদিনে অপরাধী ডিভাইস নষ্ট করে ফেলার সুযোগ নিতে পারে। মেয়েদের জন্য অপরাধ মামলা যোগ্য করে একটা লোকেশন করা হলে তারা আইন সুরক্ষা পেত।
সমাজে অনেক কুসংস্কার ও গোঁড়ামি আছে। অনেক ক্ষেত্রে নানা বিষয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। এসব বিষয়ে সব শ্রেণীর মানুষকে আরো সচেতন করতে হবে এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন দরকার। রা/অ