শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:২৩ pm
শহিদুল ইসলাম (নিজস্ব প্রতিবেদক) নাচোল :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় নাচোল কল্যাণ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে গুণীজন সংবর্ধনা ও শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।
নাচোল উপজেলা স্কুলের সহকারী শিক্ষক মজিদুল হকের সঞ্চালনায় মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল নাচোল সরকারি কলেজ মিলনায়তনে গুণীজনদের সংবর্ধনা ও মেধা শিক্ষাবৃত্তি অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
নাচোল কল্যাণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব এএইচএম আব্দুল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সংসদ সদস্য মু.জিয়াউর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নাচোল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শরিফুল ইসলাম, নাচোল পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ ঝালু খাঁন। অন্যানের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, নাচোল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ওবাইদুর রহমান, নাচোল সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত গুণীজনদের ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন, উত্তরীয় পরিয়ে তাদের ক্রেস্ট ও সংবর্ধনা স্মারক তুলে দেন প্রধান অতিথি এমপি মু. জিয়াউর রহমান।
সংবর্ধিত গুণীজনরা হলেন, নাচোল কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রিয়াদ ফারুক, নাচোল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক ও সহকারী শিক্ষক সাইদুর রহমান এবং নাচোল খোরশেদ মোল্লা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মঈনুদ্দিন (মরণোত্তর)।
এদিকে নাচোল কল্যাণ ফাউন্ডেশন ২২ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষয় অংশগ্রহণ করায়, প্রথম স্থান অধিকারীকে নগদ ৩ হাজার টাকা, দ্বিতীয় ২ হাজার টাকা এবং তৃতীয় শিক্ষার্থীকে ১ হাজার টাকা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়েছে।
চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের আলহাজ্ব আরশাদ আলী বিশ্বাস স্মৃতি বৃত্তি, ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মোহাম্মদ আলী স্মৃতি বৃত্তি, সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের রোফাজ্জল হক- সাজ্জাদ আহম্মদ স্মৃতি বৃত্তি, নবম শ্রেণী শিক্ষার্থীদের মোজাম্মেল হক মাস্টার (মাক্তাপুর) স্মৃতি বৃত্তি, দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের রেশমি আরা স্মৃতি বৃত্তি, দশম শ্রেণী শিক্ষার্থীদের মাইনুল হক স্মৃতি বৃত্তি এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের আব্দুল মালেক চৌধুরী স্মৃতি বৃত্তি।
নাচোল কল্যাণ ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে, প্রধান অতিথি এমপি মু.জিয়াউর রহমান বলেন, নাচোল উপজেলাকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার লক্ষ্যে বিশেষ ভূমিকা ও অবদান রাখায় ৪জন শিক্ষককে গুণীজন সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
আমার সংসদীয় আসনের (নাচোল, গোমস্তাপুর, ভোলাহাট) এই তিন উপজেলার মধ্যে নাচোল উপজেলায় শিক্ষা খাতে বিশেষ অবদান রাখায় এই প্রথম গুণীজনদের সংবর্ধনা দেওয়ার সৌভাগ্য আমার হলো।
দেশবরেণ্য গুণীজনরা দেশের জন্য, জাতির জন্য, স্বাধীনতার মূল স্রোতকে ধরে রাখার জন্য যা যা করতে হয় তাই করেন। এর মধ্যে আমার সংসদীয় আসনের নাচোল উপজেলাকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে ৪ জন শিক্ষক যে অবদান রেখেছেন সেই ঋণ শোধ করা কারো সম্ভব নয়।
আগামীতে আমার তিন উপজেলায় এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য যা যা করার তাই শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান করেন। তিনি আরো বলেন, আপনাদের সর্বস্তরের সকল পেশাজীবী মানুষের সহযোগিতা পেলে, আমার এ সংসদীয় আসনটি শিক্ষা, যোগাযোগ, কৃষি, রেলবন্দরসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নিতে একান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাব। উন্নয়নমূলক সকল ধরনের কাজ বাস্তবায়ন করতে আপনাদের পাশে আমি থাকবো।
সভাপতি এএইচএম আব্দুল্লাহ বলেন, নাচোল উপজেলাকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার জন্য যা যা করার প্রয়োজন ছিল তাই চেষ্টা করেছেন, চারজন শিক্ষক। তাদের সেই ঋণ শোধ করা সম্ভব নয়। আমরা আমাদের প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই নতুনদের জানাতে চাই। আমরা গুণীজনদের শ্রদ্ধা করতে জানি। মাদক, সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিতে আলোকিত হোক নাচোল উপজেলা এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
সংবর্ধিত অতিথি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রিয়াদ ফারুক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা নিজেদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলো। জীবনে সব সময়ই বড় স্বপ্ন দেখবে এবং সেটা অর্জনের জন্য পরিশ্রম করবে, দেখবে তোমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছ। এগিয়ে যাওয়ার উৎসাহ ও অনুপ্রেরণার জন্য মহৎ ব্যক্তিদের জীবনী পড়বে। যা তোমাদের নীতি-নৈতিকতায় উৎকর্ষিত করবে ও সাফল্যের পানে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে। শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষক ও অভিভাবকদের অগ্রণী ভূমিকা অত্যাবশক বলেও মনে করেন তিনি। রা/অ