শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৭:৩১ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, গোদাগাড়ী : রাজশাহীর গোদাগাড়িতে চাঁদার দাবিতে বালুঘাটে কর্মচারিকে কুপিয়ে জখম ও পৌনে পাঁচ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় এখনো মামলা নেয়নি পুলিশ। গত ৫ এপ্রিল দুপুর সোয়া ১টার দিকে ভাটোপাড়া ফুলতলা বালুঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
পরে মিনহাজুল ইসলাম রুদ্রো (২১) নামের বালুমহালের ওই কর্মচারিকে উদ্ধার করে গোদাগাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরের দিন তিনি বাদি হয়ে ১০ জনকে আসামী করে গোদাগাড়ী থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ এখনো মামলাটি রেকর্ড করেনি।
আসামীরা হলেন, ভাটোপাড়া গ্রামের অপু, মামুন, ডন, হিটলার, হামিম, শামীম, সোহান, বুলেট, হিমু ও রাসেল।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, অপুর নেতৃত্বে আসামীরা ফুলতালা বালুঘাটে গিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় তারা বালুমহালের ইজারাদারের কর্মচারি মিনহাজুল ইসলাম রুদ্রোকে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় তারা ক্যাশ থেকে চার লাখ ৭৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়।
এর আগের দিন ৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে বালুঘাটে গিয়ে তারা প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা করে চাঁদা দিতে হবে বলে দাবি করে। একই সঙ্গে চাঁদা না দিলে তারা ব্যবসা বন্ধের হুমকি দেয়। এ নিয়ে কথাকাটাটির এক পর্যন্ত তারা সেখানে কর্মচারিদের মারপিট ও ভাঙচুর চালায়।
এ সময় তারা বালুঘাটের ক্যাশ বাক্স থেকে দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই রাতেই বালুমহালের ম্যানেজার রাসেল মাহমুদ রানা (২৮) বাদি হয়ে ১১ জনকে আসামী করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
বালুমহাল ইজারাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জাহাঙ্গীর এন্ড সন্সের ম্যানেজার রাসেল মাহমুদ রানা বলেন, তাদের বালুঘাটে পর পর দুইদিন হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেয়া হলেও পুলিশ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি পুলিশ তদন্তেও যায়নি তাদের বালুঘাটে।
গোদাগাড়ী থানার ওসি খলিলুর রহমান পাটোয়ারি বলেন, বিষয়টি তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে পুলিশ সুপারকেও অবহতি করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।