শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৭:১৯ am
ডেস্ক রির্পোট :
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অনিয়ম- দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে আইনি ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনে( দুদক) আবেদন করেছেন হবিগঞ্জ- ৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন । দুদক অনুসন্ধান শুরু না করলে তিনি হাইকোর্টে যাবেন বলেও জানিয়েছেন ।
রোববার( ২১ এপ্রিল) দুদকের চেয়ারম্যান বরাবর এই আবেদন করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন । এ সময় তিনি বেনজীরকে নিয়ে অনিয়ম- দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে দৈনিক কালের কণ্ঠে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন আবেদনের সাথে সংযুক্ত করেন । আবেদনে বেনজীর আহমেদ ছাড়াও তার স্ত্রী জিসান মির্জা, দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাশিন রাইসা বিনতে বেনজীরের বিরুদ্ধে অভিযোগেরও অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয় ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, সাবেক আইজি বেনজীরের দুর্নীতি নিয়ে যে অভিযোগ আসছে পত্রিকায় তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ইনকোয়ারির (অনুসন্ধান) ব্যবস্থা না দেখে দু’দকে এসে একজন নাগরিক হিসেবে আবেদন করে বলেছি, এর (অভিযোগের) ইনকোয়ারি করা দরকার । কারণ সাবেক আইজিপির যদি এত সম্পদ থাকে, তবে বাংলাদেশ পুলিশের মধ্যে যারা সৎ অফিসার আছেন, তারা খুব বেশি হতাশাগ্রস্ত হবেন । দেশে যারা সৎ আছেন, তাদের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে আর যারা অসৎ, তারা মোটামুটি প্রতিযোগিতায় নামবেন । যদি অভিযোগ সত্য হয়ে থাকে, তাহলে তারা বলবেন আমরা সবাই বেনজীর হইতে চাই । আমার কাছে মনে হয়েছে, দেশের জন্য এটি ভয়ানক বিষয় ।
দু’দক এসব বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে কী করবেন, জানতে চাইলে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, পরিষ্কার, হাইকোর্টে যাবো।
সুমনের আবেদনের পর সুপ্রিম কোর্টে দু’দকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, জানতে পেরেছি সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সম্পদ নিয়ে যে খবর ছাপা হয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন দুদকে একটি আবেদন করেছেন । তার এই আবেদনের প্রেক্ষিতে দু’দক তার আইন ও বিধি অনুসারে অভিযোগ যাচাই-বাছাই করবে । কমিশন যদি মনে করে এটা দুদকের আওতায়, তাহলে দুদক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে ।
এক প্রশ্নে এ আইনজীবী বলেন, এখানে ব্যক্তি মুখ্য নয় । কে কি, তা এখানে ইস্যু নয় । দুদক দেখে যে অভিযোগটি তফসিলভুক্ত অপরাধের মধ্যে পড়ে কি না । কমিশন দেখবে তথ্যের সত্যতা কতটুকু । সায়েদুল হক সুমন যে দরখাস্ত দিয়েছেন, তা যাচাই- বাছাই কমিটিতে যাবে । এরপর কমিটি তা দেখে সিদ্ধান্ত দেবে । কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
আবেদনে বলা হয়েছে, বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের ৩০তম আইজি ছিলেন । অবসরে যান ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। চাকরিতে থাকাকালে বেনজীর ও তার স্ত্রী-মেয়েদের নামে তিনি বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে খবরে প্রকা। এসব সম্পদ তার আয়ের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় ।
প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যের বরাত দিয়ে ব্যারিস্টার সুমনের আবেদনে বলা হয়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক ( আইজি) বেনজীর আহমেদের বৈধ আয়ের চেয়ে তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা সম্পদের পরিমাণ অনেক বেশি । এর ফলে তিনি চাকরিতে থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এসব সম্পদ অর্জন করেছেন বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে । এর ফলে বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের সম্পদের তদন্তে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করছি । সূত্র : বাংলাটাইমস