শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:০৯ am
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
সামরিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ইরান বিভিন্ন ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন তৈরি করেছে। তাদের এই কার্যক্রম পশ্চিমা দেশগুলোকে সবসময় আতঙ্কিত করেছে।
দখলদার ইসরায়েলের ওপর এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। গতকাল শুক্রবার সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজকে এ তথ্য জানান যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা। মূলত সিরিয়ায় অবস্থিত কনস্যুলেটে ইসরায়েলি সেনাদের হামলার বদলা নিতে দখলদার ইসরায়েলের ওপর সরাসরি হামলার ছক কষছে তেহরান।
ইরান যদি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় তাহলে কী হবে না হবে তা নিয়ে ইসরায়েলে জল্পনা-কল্পনা চলছে।
এর মধ্যে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, ইরানের কাছে যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আছে সেটি ইরান থেকে ইসরায়েলে পৌঁছাতে মাত্র ১২ মিনিট সময় লাগবে। আর তাদের ক্রুস ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর সেটি ইসরায়েলে আঘাত হানতে পারবে দুই ঘণ্টার মধ্যে। ইরানের কাছে যেসব ড্রোন রয়েছে সেগুলো ইসরায়েলে পৌঁছাতে সময় লাগবে ৯ ঘণ্টা।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা দপ্তরের সূত্রমতে, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের কাছেই সবচেয়ে বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজকে জানিয়েছেন, ইরান ১০০ ড্রোন এবং কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, যদি ইরান এই আকারে হামলা চালায় তাহলে এটি ঠেকানো ইসরায়েলের জন্য কঠিন হয়ে যাবে।
ইরানের কাছে থাকা ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে কোনগুলো ইসরায়েলে পৌঁছাতে পারবে, গত সপ্তাহে সেটির একটি গ্রাফিক্স তৈরি করেছে ইরানি বার্তাসংস্থা ইসনা। এতে তারা বলেছে, ইরানের ৯টি ড্রোন সরাসরি ইসরায়েলে আঘাত হানতে পারবে।
যার মধ্যে রয়েছে ‘সেজিল’ নামের একটি ক্ষেপণাস্ত্র। যেটি ঘণ্টায় ১৭ হাজার কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে এবং এটি ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভূলভাবে আঘাত হানতে পারবে। সূত্র : বাংলা টাইমস