শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:১১ am
ডেস্ক রির্পোট :
ভারতে লোকসভা নির্বাচনে ভোট-গ্রহণ আসন্ন। ভোটারদের মধ্যে বেকারত্ব ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগ কাজ করলেও ১ দশক ধরে নরেন্দ্র মোদী দক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে যেভাবে বিশ্বজুড়ে ভারতের প্রভাব বৃদ্ধি করেছেন তাতে তৃতীয় মেয়াদের জন্য তিনিই দেশটির ক্ষমতায় আসতে চলেছেন বলে এক জরিপে উঠে এসেছে।
আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে ভারতে জাতীয় নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়া শুরু হবে। ৭ দফায় এ ভোট গ্রহণ চলবে ১ জুন পর্যন্ত। ৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
যে ভোট নিয়ে সম্প্রতি ভারতের সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব ডেভেলপিং সোসাইটি বা লোকনীতি-সিএসডিএস দেশটির ১৯টি রাজ্যে একটি জরিপ পরিচালনা করেছে। গত বৃহস্পতিবার ওই জরিপে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
যেখানে দেখা যায়, ২৭ শতাংশ ভোটার দেশে চলমান বেকারত্ব নিয়ে নিজেদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আর ২৩ শতাংশ ভোটারের মূল উদ্বেগ ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি নিয়ে। ১০ হাজার ভোটার এই জরিপে অংশ নেন বলে জানায় ভারতের দৈনিক পত্রিকা দ্য হিন্দু।
তাদের প্রায় ৬২ শতাংশ মনে করেন, গত পাঁচ বছরে ভারতে চাকরি খুঁজে পাওয়া আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।
বিশ্বে সবচেয় দ্রুত-বর্ধনশীল অর্থনীত‘র দেশগুলোর অন্যতম ভারত। কিন্তু ৫ম বৃহৎ অর্থনীতির এই দেশটিতে বেকরত্ব ও মূল্যস্ফীতিও ক্রমশ বাড়ছে।
ভারতে ২০২২/২৩ সালে বেকারত্বের হার ছিল ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। অথচ, মোদীর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ঠিক আগে দিয়ে ২০১৩/১৪ সালে দেশটিতে বেকারত্বের হার ছিল ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। সরকারি পরিসংখ্যা অনুযায়ী, ২০২২/২৩ সালে ভারতে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী শহুরে তরুণদের মধ্যে প্রায় ১৬ শতাংশ দক্ষতার অভাব এবং যথাযথ কর্মসংস্থানের অভাবে বেকার হয়ে আছে।
এ বছর জানুয়ারিতে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী। জরিপে অংশ নেয়া ২২ শতাংশ মানুষ বলেছেন, মোদী সরকারের করা বিভিন্ন কাজের মধ্যে এটাই তাদের পছন্দের শীর্ষে। ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানের ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ভেঙে সেখানে রাম মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে। জরিপে অংশ নেয়া ৮ শতাংশ ভোটার বিতর্কিত জায়গায় রাম মন্দির তৈরি করা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
ভোটের বছরে রাম মন্দির’র উদ্বোধন করে মোদী সরকার ভারত’র সংখ্যাগুরু হিন্দু ভোটারদের মন জয় করতে চাইছেন বলে মত বিরোধীদের।
জরিপে অংশ নেওয়া ৪৮ শতাংশ ভোটার মনে করেন, রাম মন্দির হিন্দু পরিচয়কে সু-সংহত করবে। তবে ৭৯ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বলেন, ভারত শুধু হিন্দুদের দেশ নয়; সেখানে তারা সব ধর্মের মানুষের সহাবস্থান চান।
আন্তর্জাতিক দরবারে ভারতের ক্রম বর্ধমান নেতৃত্বও ভোটারদের আকৃষ্ট করেছে। যা মধ্যে গত বছর জি২০ তে ভারতের সভাপতিত্ব এবং সেপ্টেম্বরে দিল্লিতে জি২০ সম্মেলনের আয়োজন করার বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।
আট শতাংশ ভোটার বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারত’র ইমেজ আরও ভালো করার যে চেষ্টা মোদী সরকার করছে তারা সেটা পছন্দ করেন। তথ্যসূত্র : বিডিনিউজ