সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:২৯ pm
আমার জানা মতে সারাদেশের চাইতে রাজশাহীতে প্রথম সারির গণমাধ্যম কর্মীরা খুবই সচেষ্ট। এখান থেকে যে পরিমাণ প্রতিবাদী সংবাদ হয়, সেটি আপনি আর কোন জেলায় খুঁজে পাবেন না। কিন্তু রাজশাহীর সেসব মূলধারার গণমাধ্যমকর্মীকে টার্গেট করে মাঠে নেমেছে একটি চক্র।
যাদের অধিকাংশই ভুঁইফোড় সংগঠনের নেতা বা নামধারী সাংবাদিক। অথচ সারাদেশের মতো রাজশাহীতেও এসব নামধারী সাংবাদিকরা ভয়ঙকর সব অপকর্মে জড়িত। প্রশ্ন উঠেছে যাদের এক টাকা বেতন নাই, তারা কিভাবে চলে? কারা মাদক ক্যারি করে? কারা মাদক সেবন করে এখন সাংবাদিকতার কার্ড ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে? তাদের দাপটে কারা তটস্থ থাকে? সেগুলো নিয়ে দ্রুত প্রশাসনকে মাঠে নামা দরকার। ‘ব’ কলম লেখা পড়া না শিখেও কিভাবে সাংবাদিকতার নামে তারা এসব করছে, সেসব নিয়ে প্রশাসনকে কাজ করতে হবে। দ্রুত সিল্কসিটিনিউজে এদের নিয়ে অনুসন্ধানী সিরিজ প্রকাশ হবে।
এখানে একটি কথা বলতে চাই, রাজশাহীতে অনেক কিছু ঘটে যায়, সেসব বিষয়ে এখন পর্যন্ত মূলধারার সাংবাদিকরাই সোচ্চার ভূমিকা রাখেন। উত্তরাঞ্চলের কৃষকদের অন্যতম অর্থনৈতিক হাতিয়ার হলো, বিএমডিএ এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক। দুটি প্রদিষ্ঠানই গিলে খাওয়া হচ্ছে। এসব নিয়েও মূলধারার সাংবাদিকরা সোচ্চার।
এদিকে, একের পর এক পুকুর ভরাট করে নগরীকে মরুভূমিতে পরিণত করা হচ্ছে। কিন্তু নামধারী কোনো মিডিয়ায় কোনো সংবাদ হয় না। বরং সেসব স্থান থেকে তারা গিয়ে মাশোহারা তুলে। উপজেলা পর্যায়ে পুকুর খনন হচ্ছে, সেখানেও এদের বিচরণ। অনেকেই বলেছেন পুকুর মালিকদের কাছে গিয়ে কেউ কেউ সরাসরি এক বোতল ফেনসিডিলের টাকাও চান নেশা কন্ট্রোল না করতে পেরে। আবার অনেক চিটার-বাটপারারা সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে, কোনো কোনো রাজনীতিবিদ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে, এর বাইরেও বড় বড় যেসব অপকর্মগুলো ঘটে যাচ্ছে সেসব নিয়েও বাণিজ্যে লিপ্ত ওই চক্রটি। থানার দালালি তো আছেই। অন্যদিকে রাজশাহীর সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে যা লড়াই করেন, মূলধারার গণমাধ্যমকর্মীরাই করেন। কিন্তু মূলধারার গণমাধ্যমকর্মীদের মাঝে বিভাজনের সুযোগ নিয়ে দুই-একজন সুযোগ সন্ধানীর পশ্রয়ে সামাজিক গণমাধ্যমে মূলধারার সাংবাদিকদের আক্রমণ করার চেষ্টা করছে সেই চক্রটিই।
রাজশাহীর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, এটির বিহীত করতে হবে দ্রুত। যারা এক টাকা বেতন না পেয়ে সাংবাদিকতা ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে চলেছে, তাদের বিষয়ে আগে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে। যদিও এটি নিয়ে সরকার কাজ করছে। আমরাও দ্রুত তালিকা তৈরী করে প্রেস কাউন্সিল এবং প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করবো।’
তিনি আরও বলেন, মূলধারার সাংবাদিকদের আয়ের চেয়ে ব্যয় বা সম্পদ বেশি হলে তার জন্য দুদক আছে, প্রতিষ্ঠান আছে, সেসব জায়গায় অভিযোগ করা যেতে পারে। তারা ক্ষতিয়ে দেখুক, কার কি অবস্থান। কিন্তু ভুঁইফোঁড়দের রুখতে হবে আগে। তারা যা করছে গোটা শহরজুড়ে, সেসবের খোঁজ রাখতে হবে। সূত্র : সিল্কসিটি নিউজ