রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:৩২ am
আবু বাককার সুজন (নিজস্ব প্রতিবেদক) বাগমারা :
রাজশাহীর বাগমারায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় সোহাগ হোসেন হত্যা মামলায় ঝিকরা ইউপির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই আসাদুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র্যাবের একটি টহল দল অভিযান চালিয়ে ঝিকরা বাজার থেকে তাকে আটক করে। পরে তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরবিন্দ সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোহাগ হত্যা মামলায় পুলিশ আরো দুইজনকে আটক করে। তারা হলেন- কুদাপাড়া গ্রামের শিবলু রহমান ও রহিদুল ইসলাম।
এদিকে গত শনিবার চাঞ্জল্যকর সোহাগ হত্যা মামলার আসামি ঝিকরা ইউপির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার না করে তাকে পাশে বসিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যোগীপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর নয়ন হোসেন ইফতার মাহফিল করায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্ট হয়। যোগীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আয়োজনে ইফতার মাহফিলে সোহাগ হত্যা মামলার ১নং আসামি ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের সাথে এক টেবিলে বসে তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর নয়ন হোসেনের ইফতার মাহফিলের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ছে প্রশাসনের মধ্যে তোলপাড়া শুরু হয়। পুলিশের এ ধরণে রহস্যজনক ভূমিকার কারণে এলাকাবাসির মাঝেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এর চারদিনের মাথায় চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই আসাদুল ইসলামকে র্যাব আটক করল।
জানা গেছে, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার জেল ধরে গত ২ ফেব্রেুয়ারী ঝিকরা ইউনিয়নে ঝিকরার মরুগ্রাম ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে মোনাহার ইসলামকে পিটিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা। এই খবর পেয়ে আহত বন্ধু মোনাহারকে দেখতে ঢাকা থেকে বাগমারায় এসে সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হন সোহাগ হোসেন। নিহত সোহগ হোসেন যশোর জেলার মনিরামপুর এলাকার শরিফ উদ্দিন মিস্ত্রীর ছেলে। এই হত্যা কান্ডের ঘটনায় সোহাগের চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলাম সাগর বাদী হয়ে থানায় এবং মোনাহার ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে পৃথকভাবে দুটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। রা/অ