রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:৫০ am
নিজস্ব প্রতিবেদক :
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের গ্রন্থাগারিক আব্দুল্লাহ আল বসির ও তার স্ত্রী তানিয়া জামান চৌধুরীর নামে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
তাদের বিরুদ্ধে এক কোটি ২৮ লাখ ৮৩ হাজার ৯৭০ টাকা মূল্যের বেশি স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে এ মামলা দায়ের করা হয়।
এর মধ্যে আব্দুল্লাহ আল বসির রাজশাহীর ইনস্টিটিউট ফর লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশান স্টাডিজ (ইলিশ) নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান পরিচালনা কমিটির সদস্য।
অভিযোগ রয়েছে, বসির ইলিশ থেকে গ্রন্থাগারিক বিষয়ের ভুয়া সনদ বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা অবৈধভাবে কামিয়েছেন। তার স্ত্রীও তার সহযোগী হয়েছেন।
মামলা এজাহার সূত্রে জানা গেছে, তানিয়া জামান চৌধুরী দুদকে তারা দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে এক লাখ ১২ হাজার ৯৩৭ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ কথা জানান। তবে দুদকের অনুসন্ধানে তথ্য গোপনসহ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ঘোষণা প্রদান এবং অসাধু উপায়ে অর্জিত ও তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৩৮ লাখ ১৪ হাজার ৩৬০ টাকা মূল্যের জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায়।
এদিকে স্বামীর সহযোগিতায় জালিয়াতির মাধ্যমে ৩১তম বিসিএসে নিয়োগের অভিযোগে তানিয়া চৌধুরীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন কর্তৃক মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় সিআইডি কর্তৃক আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগের অভিযোগে তানিয়া জামান চৌধুরীকে সরকারি চাকরি হতে অপসারণ করা হয়।
এছাড়াও গ্রন্থাগারিক আব্দুল্লাহ আল বসির রাজশাহী জেলা কার্যালয়ে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৩ লাখ ৬৭৭ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য দেন। তবে দুদকের অনুসন্ধানে তার অর্জনের তথ্য গোপনসহ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ঘোষণা প্রদান এবং অসাধু উপায়ে অর্জিত ও তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৯০ লাখ ৯১ হাজার ২৯৩ টাকা মূল্যের জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায়।
জানা গেছে, আব্দুল্লাহ আল বসির ও তার স্ত্রী বর্তমানে রাজশাহী নগরীর ঘোড়ামারা এলাকায় বসবাস করেন। রা/অ