রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:০২ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগমারা :
রাজশাহীর বাগমারায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় সোহাগ হোসেন নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। চাঞ্জল্যকর ওই হত্যা মামলার আসামি ঝিকরা ইউপির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার না করে তাকে পাশে বসিয়ে ইফতার মাহফিল করলেন ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যোগীপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর নয়ন হোসেন। এই ঘটনায় ভোক্ষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদি।
শনিবার যোগীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সোহাগ হত্যা মামলার ১ নং আসামি ঝিকরা ইউপির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন। ওই ইফতার মাহফিলের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করেন যোগীপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল। ছবিতে দেখা যায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর নয়ন হোসেন এর ডান পাশে বসে বছেন সোহাগ হত্যা মামলার ১নং আসামি ঝিকরা ইউপির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম এবং বাম পাশে বসে আছেন বাগমারা থানার তদন্ত কর্মকর্তা সবুজ রানা। মামলার পর থেকে এলাকায় অবস্থান করলেও অদৃশ্য কারণে পুলিশ চেয়ারম্যান রফিকুলকে গ্রেফতার করেনি। পুলিশের এ ধরণে রহস্যজনক ভূমিকার কারণে এলাকাবাসির মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
জানা গেছে, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার জেল ধরে গত ২ ফেব্রেুয়ারী ঝিকরা ইউনিয়নে ঝিকরার মরুগ্রাম ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে মোনাহার ইসলামকে পিটিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা। এই খবর পেয়ে আহত বন্ধু মোনাহারকে দেখতে ঢাকা থেকে বাগমারায় এসে সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হন সোহাগ হোসেন। নিহত সোহগ হোসেন যশোর জেলার মনিরামপুর এলাকার শরিফ উদ্দিন মিস্ত্রীর ছেলে। এই হত্যা কান্ডের এক দিন পর সোহাগের চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলাম সাগর বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামী করে বাগমারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর শিবলু রহমান ও রহিদুল ইসলাম নামে দুইজনকে অজ্ঞাত আসামি হিসাবে পুলিশ গ্রেফতার করে।
এদিকে মোনাহার ইসলাম সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর এই হত্যা কান্ডের সঙ্গে যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত তাদের নাম উল্লেখ করে পৃথকভাবে রাজশাহীর আদালতে আরো একটি মামলা করেন। এদিকে একই ঘটনায় দুটি মামলা হওয়ায় তদন্তের স্বার্থে আদালত তা আগের মামলার সাথে সমন্বয় স্থাপন করে তদন্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
এব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর নয়ন হোসেন বলেন, বর্তমানে আমি জয়পুর হাটের আক্কেলপুর থানায় ওসি হিসাবে বদলী হয়েছি। তাই মামলার নতুন তদন্ত কর্মকর্তা যিনি হবেন তিনিই মামলাটির তদন্ত করে প্রতিবেদন দিবেন। এ কারণে তিনি ওই মামলার কোন আসামিকে গ্রেফতার কিংবা তদন্ত করছেন না বলে মন্তব্য করেন। রা/অ