রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৭:৫৩ am
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর বাগমারায় স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার অপরাধে বাসুপাড়া ইউনিয়নের বীরকয়া গ্রামের বৃদ্ধ কৃষক সামাদ আলীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে পঙ্গু করে দিয়েছে বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থক ঠোঙ্গরা বাহিনীর প্রধান আ.লীগ নেতা জাবের আলী ও তার লোকজন।
এই ঘটনায় আহত কৃষকের ছেলে আশরাফুল ইসলাম বাদি হয়ে জাবের আলীসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করায় ওই কৃষক পরিবারকে নির্বাচনের পর থেকে নিজ বাড়িতে উঠতে দেওয়া হয়নি। এছাড়া ওই কৃষকের পাঁচ বিঘা জমির বোরোক্ষেতে গভীর নলকূপ থেকে সেচ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় একটি জিডি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার মিলেনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হককে কাচি প্রতীকে ভোট দেন বীরকয়া গ্রামের কৃষক সামাদ আলী ও তার পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু ওই আসনে বিজয়ী হন নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ। নির্বাচনের পর বাসুপাড়া ইউনিয়ন আ.লীগের সদস্য ও বীরকয়া গ্রামের ঠোঙ্গরা বাহিনীর প্রধান জাবের আলী ও তার লোকজন বৃদ্ধ কৃষক সামাদ আলীর কাছে দশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাংচুর ও মারধর করে ওই কৃষক পরিবারকে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
কয়েক দিন আগে কৃষক সামাদ আলী জমিতে হালচাষ দিতে গেলে তার তার জমিতে সেচ বন্ধ করে দিয়ে হ্যারো মেশিন ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং ওই বুদ্ধ কৃষককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে তার হাত-পা ভেঙ্গে পঙ্গু করে দেওয়া হয়। বর্তমানে ওই কৃষক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে জাবের আলী বলেন, শুধু তাকেই নয়, আরো কয়েকজন কৃষকের জমিতে সেচ বন্ধ করা হয়েছে। তবে কি কারণে করা হয়েছে, তা তারাই ভাল জানে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জল হোসেন বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। থানার ওসি অরবিন্দ সরকারও এ বিষয়ে জিডি হওয়ার কথা স্বীকার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। রা/অ