বৃহস্পতিবর, ০৫ িসেম্র ২০২৪, সময় : ০৮:২৪ am
আজকের তানোর ডেস্ক : আগামী ১ জুলাই থেকে দেশে অবৈধ ও নকল হ্যান্ডসেট বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার। ওই সময়ের আগে গ্রাহকদের হাতে থাকা সচল হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান বিটিআরসি প্রধান।
বৃহস্পতিবার বিটিআরসি কার্যালয়ে টেলিকম খাতের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিয়ম অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান এ তথ্য দেন।
অবৈধ মোবাইল সেট বন্ধ ও বৈধ সেটের নিবন্ধনে ডিসেম্বরে বিটিআরসির সঙ্গে চুক্তি করে দেশীয় প্রতিষ্ঠান সিনেসিস আইটি। চুক্তি অনুযায়ী ১২০ কার্যদিবসের মধ্যে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সিস্টেম চালু করতে হবে সিনেসিসকে।
কবে নাগাদ অবৈধ ও নকল হ্যান্ডসেট বন্ধ করা হবে প্রশ্নে বিটিআরসি প্রধান বলেন, “যে সেটগুলো গ্রাহকের হাতে আছে তাদেরকে ডিসটার্ব না করে কাজটি করতে চাই। যে সেটগুলো চালু আছে তাদের ইনকর্পোরেট করে নেব, সে সুযোগ দেব। নতুন যেগুলো আসবে সেগুলো অবশ্যই নিবন্ধন হয়ে আসতে হবে। আমার সেই প্রক্রিয়ায় যাব, আমরা গ্রাহকদের কোনো সমস্যায় ফেলতে চাই না।
“আগামী ১ জুলাই থেকে অবৈধ সেটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। বিদ্যমান যে সেটগুলো গ্রাহকের হাতে থাকবে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেব যাতে সমস্যা না হয়। ১ জুলাই সব চালু সেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে অপারেটরদের মাধ্যমে নিবন্ধন হয়ে যাবে।”
বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহিদুল আলম বলেন, “আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে। সেট বৈধ কিনা তা এখন যাচাই করা যাচ্ছে। আগামী ১৬ জানুয়ারি প্রতিটি অপারেটর ম্যানুয়ালি আমাদের জানাবে নতুন কোন সেটগুলো তাদের নেটওয়ার্কে আছে। এগুলো ম্যানুয়ালি অননেট চেক করে পরবর্তী সাতদিনের মধ্যে জানাব সেটটি বৈধ কি অবৈধ। বাকিগুলো যেটা অপারেশন করে বন্ধ করা হবে সেটি ১ জুলাই থেকে অনলাইন করা হবে।
“আমারা চিন্তা করছি, যে তথ্য অপারেটররা জানাবে তা নেটওয়ার্কে আসার অনুমতি দেওয়া হবে। তবে পরবর্তীতে যদি দেখা যায় তা অবৈধ তাহলে ব্লক করা হবে । বিভিন্ন সময় এ বিষয়ে জনগণকে বলা হচ্ছে যাচাই করে সেট কেনার জন্য।”
বিটিআরসি জানিয়ে আসছে, এই প্রক্রিয়া শুরু হলে অবৈধ হ্যান্ডসেটে প্রাথমিকভাবে নির্দিষ্ট একটি সিম ছাড়া অন্য কোনো সিম কাজ করবে না। নির্দিষ্ট সময় পরে কোনো সিমই কাজ করবে না। ফলে গ্রাহকরা বাধ্য হয়েই নকল বা অবৈধ হ্যান্ডসেট ব্যবহার বন্ধ করবেন। সূত্র : এফএনএস