শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:২৮ pm
ক্রীড়া ডেস্ক : বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন মঈন আলীকে নিয়ে প্রথম টুইটটি করেন কাল। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওঠা ঝড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন বাংলাদেশের আলোচিত এ লেখিকা। ১৯৯৪ সালে দেশত্যাগ করা তসলিমা নাসরিনের বিপক্ষে টুইটারে এ নিয়ে কথার লড়াইয়ে যোগ দিয়েছেন ইংল্যান্ডের পেসার জফরা আর্চারও।
সম্প্রতি ভারতের সংবাদমাধ্যম জানায়, আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে মদ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের লোগো থাকায় মঈন নিজের জার্সি থেকে সেই প্রতিষ্ঠানের লোগো তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। কিন্তু চেন্নাই দাবি করেছে, এই সংবাদটি ভুল।
এরপরই কাল টুইটটি করেন ‘লজ্জা’ ও ‘আমার মেয়েবেলা’র লেখিকা, ‘মঈন আলী ক্রিকেট না খেললে সিরিয়াতে গিয়ে আইএসআইয়ের সঙ্গে যোগ দিত।’
এমন টুইটের পর ঝড় ওঠাই স্বাভাবিক। ৮৩২বার রি–টুইট হয়, ২ হাজারের বেশি মন্তব্য পান তসলিমা নাসরিন। বেশির ভাগই নেতিবাচক। রি–টুইটকারীদের মধ্যে রয়েছেন আর্চারও।
ইংল্যান্ডের এ তারকা পেসার আজ রি–টুইট করে লিখেছেন, ‘আপনি কি সুস্থ? আমার মনে হয় না।’ মঈনের জাতীয় দল সতীর্থ এই জবাব দেওয়ার পর ক্রিকেটপ্রেমীদের নানা রকম নেতিবাচক মন্তব্যের শিকার হন তসলিমা নাসরিন। এরপর আজ তিনি আরও একটি টুইট করেন।
সেখানে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে লিখেছেন, ‘নিন্দুকেরা ভালো করেই জানে, মঈন আলীকে নিয়ে করা টুইটটি ব্যঙ্গাত্মক। কিন্তু তারা এটাকে ইস্যু হিসেবে ধরে নিয়ে আমাকে অপদস্থ করছে। কারণ, আমি মুসলিম সমাজকে ধর্মনিরপেক্ষ করার চেষ্টা করি এবং ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধাচরণ করি। মানবজাতির অন্যতম মর্মান্তিক বিষয় হলো, নারীবাদের পক্ষ নেওয়া বামপন্থীরা নারীবাদের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া ইসলামপন্থীদের সমর্থন দেয়।’
আর্চার তসলিমা নাসরিনের এই টুইটও রি–টুইট করে জবাব দেন। রি–টুইট করে তিনি লেখেন, ‘ব্যঙ্গাত্মক? কিন্তু কেউ তো হাসছে না, এমনকি আপনিও না, এখন অন্তত যে কাজটা আপনি করতে পারেন, তা হলো টুইটটি মুছে ফেলা।’ সূত্র : প্রথমআলো। আজকের তানোর