শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:৫৭ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে রাজশাহীর মোহনপুরে নির্বাচন পরবর্তী গভীর নলকূপে একের পর এক তালা মারায় সেচ সঙ্কটের মুখে চাষাবাদ। এমন ঘটনায় উপজেলার কৃষকরা চলতি বোরো মৌসুম নিয়ে চরর আতংকের মধ্যে রয়েছেন।
সহকারী প্রকৌশলী কার্যালয় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কতৃপক্ষ মোহনপুর জোনের আওতায় মোহনপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ৩২২ টি গভীর নলকূপ রয়েছে। ওই সকল গভীর নলকূপ দীর্ঘদিন ধরে সঠিক ভাবে পরিচালিত হয়ে আসছিল। গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে অধিকাংশ গভীর নলকূপের সভাপতি,ম্যানেজার ও অপারেটর পরিবর্তন নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হতে থাকে। এক পর্যায়ে বেশ কয়েকটি গভীর নলকূপে জোর করে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া ঘটনা ঘটে। ক্ষমতাশীল দলের এক প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা ইন্ধনে উপজেলার ঘাসিগ্রাম ও রায়ঘাটি ইউনিয়নে গভীর নলকূপে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘটনা বেশি ঘটছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রয়ারী) সকালে সাড়ে ৮ টার সময় মোহনপুর উপজেলার রায়ঘাটি ইউনিয়ন পরিষদের পূর্ব পাশের বিলে বড়াইল-১ নম্বর গভীর নলকূপে দখল নেওয়ার জোর করে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রাজিব উদ্দিন দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বড়াইল-১ নম্বর গভীর নলকূপের অপারেটর হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে গভীর নলকূপটি চালিয়ে আসছিলেন। প্রতিদিনের মত আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার সময় গভীর নলকূপ চালু করে বোরো লাগানোর জন্য জমিতে এবং আলু সেচ দেওয়ার অবস্থায় রায়ঘাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুজ্জামান শহীদের নেতৃত্ব আবজাল হোসেন ও বদরুদ্দোজা মিলে গভীর নলকূপের ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয়। খবর পেয়ে গভীর নলকূপের বর্তমান অপারেটর রাজিব উদ্দিন গিয়ে আরেকটি তালা ঝুলিয়ে দেন। ওই সময় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তার উভয় পক্ষের তালা ঝুলোনো অবস্থায় চলতে গভীর নলকূপটি। বিকেল ৪ টায় বিদ্যুৎ চলে গভীর নলকূপটি বন্ধ হয়ে যায়। উভয় পক্ষের তালা ঝুলিয়ে থাকার কারণে গভীর নলকূপের ড্রেনম্যান আর চালু করতে পারেনি।
বদেন উদ্দিন নামের একজন কৃষক জানান, বোরো জমিতে পানি নেওয়ার এসে বসে রয়েছি। রাজনৈতিক সমস্যার জন্য উভয় পক্ষ গভীর নলকূপের রুমে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া কারণে জমিতে পানি পাচ্ছি না। বদের উদ্দিনের অনেক কৃষক বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।
গভীর নলকূপের বর্তমান অপারেটর রাজিব উদ্দিন বলেন, শহিদুজ্জামান শহীদের নেতৃত্ব আবজাল হোসেন ও বদরুদ্দোজা তালা মারার পর আমিও তালা মারেছি।
অভিযুক্ত রায়ঘাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুজ্জামান শহীদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তালা মারার বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। এটা কৃষকের বিষয়।
বিএমডিএ মোহনপুর জোনের সহকারী প্রকৌশলী জিএফএম হাসানুল ইসলাম গোলাম ফারুক বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এইমাত্র শুনলাম। দ্রুত অফিসের লোক পাঠিয়ে সঠিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। রা/অ