রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:৫৫ pm

সংবাদ শিরোনাম ::
রাজধানীতে প্রেসক্লাবে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক, যান চলাচল বন্ধ একতরফা নির্বাচন গায়ের জোরে করতে চাই না কেউ : নতুন সিইসি গাজীপুরে দুর্ঘটনায় নিহর শিক্ষার্থী সাকিবের লাশ রাজশাহীতে দাফন কম্পিউটার কী বোর্ডের মাধ্যমে রাজশাহীতে পাহাড়িয়াদের মাতৃভাষার লিখন পঠন কার্যক্রম উদ্বোধন গোদাগাড়ীতে প্লাজমা ফাউন্ডেশনের ৯ম তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন আমবাগান থেকে বাঘায় দিনমুজুরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার নগরীতে জেলা কৃষকলীগ সভাপতি তাজবুল ইসলামসহ ১৫ জন গ্রেপ্তার নাচোলে মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের ১৪৮তম শাখা উদ্বোধন গণতন্ত্রের মোড়কে বাকশাল কায়েম চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা : সাকি তানোরে আলু বীজে মহাসিন্ডিকেট, দ্বিগুন দামে দিশেহারা চাষীরা! দুর্গাপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক রফিক সরকারের দাফন সম্পন্ন দুর্গাপুরে বিএনপি’র আয়োজনে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপিত মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য কোথাও বসাতে না পেরে বিক্রি করলেন ভাঙারির দোকানে রাজনৈতিক দলকে সরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা নেই : আনন্দবাজারকে জামায়াতের আমির আগামী তিন মৌসুমের জন্য আইপিএলে যে ১৩ ক্রিকেটারের নাম দিল বিসিবি স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েও কাজ থামিয়ে রাখেননি অভিনেত্রী হিনা খান নগরীতে সন্ত্রাসি কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধে ১১ জন গ্রেপ্তার তানোরে সার বিতরণে অনিয়ম ও পাঁচার রোধে হট্টগোল মারপিট দুর্গাপুরে হোজা নদী পুন:খনন ও দখলমুক্ত দাবিতে ইউএনও’কে স্মারকলিপি রাজশাহীতে সমন্বয়ক পেটানোর ব্যাখ্যা দিল মহানগর ছাত্রদল
ঢিলেঢালা ‘লকডাউন’

ঢিলেঢালা ‘লকডাউন’

CHINA OUT Mandatory Credit: Photo by STRINGER/EPA-EFE/Shutterstock (10536688a) Workers manufacture protective face masks in a factory, as face mask stocks run low amid the outbreak of coronavirus, in Handan, Hebei Province, China, 23 January 2020. The outbreak of coronavirus has so far claimed 17 lives and infected more than 550 others, according to media reports. Authorities in Wuhan announced on 23 January, a complete travel ban on residents of Wuhan in an effort to contain the spread of the virus. Factories step up production of face masks amid coronavirus outbreak in China, Handan - 23 Jan 2020

করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত সাত দিনের বিধিনিষেধের প্রথম দিন ছিল একরকম ঢিলেঢালা। সোমবার রাজধানীসহ সারা দেশে ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, রিকশা ও লেগুনায় সড়কগুলোতে রীতিমতো যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। এমনকি সকালে ঢাকার কোনো কোনো সড়কে দুই-একটি বাসও চলতে দেখা যায়। যদিও পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে সেগুলো বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করে সড়ক ও কাঁচাবাজারে মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নের দায়িত্বে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।

তবে গণপরিবহণ-বাস, ট্রেন, লঞ্চ, অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ও শপিংমলসহ অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। কিন্তু রাজধানী ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শপিংমল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ব্যবসায়ীরা। আর শিল্প শ্রমিকরা গণপরিবহণ চালুর দাবিতে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছেন।

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার, যা সবার কাছে ইতোমধ্যেই ‘লকডাউন’ হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। ১১ দফা সংবলিত সেই নির্দেশনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- গণপরিবহণ-বাস, ট্রেন, লঞ্চ, অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বন্ধ থাকবে। সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত জরুরি প্রয়োজনে সীমিত পরিসরে খোলা রাখা যাবে। শপিংমল-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ থাকবে। নির্দিষ্ট সময় খোলা থাকবে নিত্যপণ্যের দোকান। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। খাবার দোকান খোলা থাকলেও সেখানে বসে খাওয়া যাবে না। তবে খাদ্য বিক্রি করা যাবে পারসেল বা টেকঅ্যাওয়ে অথবা অনলাইনে ।

সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, সরকারি কঠোর নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ভোর থেকে রাজধানীর গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাসটার্মিনালে গ্রামমুখো মানুষের জটলা ছিল। গণপরিবহণ না থাকায় মাইক্রোবাস, ট্রাক, পিকআপে করে অনেক মানুষকে ঢাকা ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। সায়েদাবাদ বাসটার্মিনাল ও যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ঢাকার বাইরে যাওয়ার কোনো গণপরিবহণ না পাওয়ায় গতকাল সকাল ৯টায় বিক্ষোভ করেন শ্রমিক ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। ১৫ মিনিটের মধ্যে তাদেরকে বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। এ সময় বিক্ষোভকারীরা বলেন, পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করলে গণপরিবহণ চলাচলে সমস্যা ছিল কোথায়? আর মার্কেট খুলে দেওয়ার দাবিতে গতকাল সকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় বিক্ষোভ করেছে ওই এলাকার মার্কেটের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। দায়িত্বরত পুলিশ তাদেরকে বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেন। এ সময় ওই সড়কে কিছু সময়ের জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

সোমবার দুপুর পৌনে ১টায় মেসার্স নাবিলা মটরস নামের একটি পিকআপ (ঢাকা মেট্রো-ন, ১৬০৩৫১) গাবতলী গরুর হাট সংলগ্ন সড়ক থেকে ১৫ জন যাত্রী নিয়ে পাটুরিয়া ফেরিঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ সময় পুলিশ তাদেরকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। আর দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত ওই স্পট থেকে আরিচার উদ্দেশে ৬টি মাইক্রোবাসে করে যাত্রী নিয়ে যেতে দেখা যায়। জনপ্রতি ভাড়া নেওয়া হয়েছে ৫০০ টাকা। এছাড়া সিএনজি অটোরিকশা, মোটরবাইকে রাইড শেয়ারিংও করতে দেখা গেছে। আর গাবতলী থেকে বেঁড়িবাধ সড়কে মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর সেকশন বেড়িবাঁধ পর্যন্ত লেগুনা চলাচল করতে দেখা গেছে।

মগবাজারের বাসিন্দা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ‘অফিস খোলা থাকায় আজও বাইরে বের হতে হয়েছে। ব্যক্তিগত এবং অফিসের গাড়ির ব্যবস্থা না থাকায় ভাড়ায় চালিত পরিবহণে কুড়িল যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হই। ভাবছিলাম হয়তো রিকশায় চড়ে যেতে হবে। কিন্তু বের হয়ে দেখি, অনেক সিএনজি, অটোরিকশা আছে সড়কে। পরে সিএনজি, অটোরকিশায় চড়ে অফিসে এসেছি। বাধ্য হয়ে গলাকাটা ভাড়া পরিশোধ করতে হয়েছে।’

পল্টন মোড়ে কথা হয় পুরান ঢাকার বাসিন্দা কামাল হোসেনের সঙ্গে। তিনি যুগান্তরকে বলেন, ‘সরকার করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশেষ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি। এটার মূল উদ্দেশ্য মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে করোনা সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরা। কিন্তু কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানীতে উপস্থিত সে উদ্দেশ্য কতটুকু বাস্তবায়ন হবে, সেটা প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।’

গতকাল গাবতলীর পশুর হাট সংলগ্ন সড়কে নির্মাণ শ্রমিক ইসমাইল হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ‘মিরপুরে এক বেসরকারি কোম্পানির বহুতল ভবনের নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে কর্মরত ছিলাম। সরকারের বিধি-নিষেধের কারণে আপাতত কাজ বন্ধ থাকছে। এ কারণে গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা যেতে বের হয়েছি। গতকাল সন্ধ্যায় যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু ঝড়ের কারণে বের হয়নি। আজ এখানে ঘণ্টা দেড়েক দাঁড়িয়ে আছি, কোনো বাস বা অন্য কোনো পরিবহণের এখনো কোনো ব্যবস্থা করতে পারেনি।’

আরও দেখা গেছে, সরকারি নির্দেশনা মেনে জরুরি সেবায় নিয়োজিত সরকারি-বেসরকারি অফিস-শিল্প প্রতিষ্ঠান সীমিত পরিসরে খোলা ছিল। নির্দিষ্ট সময় মেনে নিত্যপণ্যের দোকান খোলা ছিল। খাবার দোকান খোলা থাকলেও সেখানে বসে খাবার খাওয়ার চিত্র লক্ষ করা যায়নি। তবে কোনো কোনো এলাকায় চায়ের দোকানে দলবেঁধে আড্ডা দিতে দেখা গেছে। এসব খাবার দোকানগুলো থেকে সরাসরি এবং অনলাইনে খাবার বিক্রি করতে দেখা গেছে। আর ব্যাংক লেনদেন সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা এবং একুশে বইমেলা দুপুর ১২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত খোলা ছিল। নির্দেশনা মেনে যেসব প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজেদের অফিসের গাড়ি ব্যবহার করতে দেখা গেছে। যাদের এ সুবিধা ছিল না তারা সিএনজি, রিকশা-অটোরিকশা ও লেগুনা ব্যবহার করেছেন। গতকাল রাজধানীর পর্যাপ্ত সংখ্যক সিএনজি চালিত অটোরিকশা, রিকশা এবং স্বল্প পরিমাণে লেগুনা দেখা গেছে। ব্যক্তিগত গাড়ির উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। এসব কারণে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যানজটও লক্ষ করা গেছে। সন্ধ্যায় গাড়ির সংখ্যা কমার কথা থাকলেও গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজট লেগে থাকতে দেখা গেছে।

আরও দেখা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি), ঢাকা ওয়াসা, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি), উচ্চ আদালত, সচিবালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর ও সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো স্বল্পপরিসরে অফিস চালু ছিল। মতিঝিল ব্যাংকপাড়ায়ও ব্যাংকারদের চলাচল লক্ষ করা গেছে। ব্যাংকের শাখাগুলোতেও গ্রাহকদের তেমন উপস্থিতি লক্ষ করা যায়নি। সোমবার লেনদেন হয়েছে নতুন নিয়ম অনুযায়ী। সেই হিসাবে সকাল ১০টায় ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হয়ে চলে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। এছাড়া লেনদেন-পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষ করার জন্য ব্যাংক খোলা ছিল বেলা দুইটা পর্যন্ত। গত ৪ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি কঠোর নিষেধাজ্ঞার এ সাত দিন ব্যাংকের শাখার নিকটবর্তী স্থানে বসবাসকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতির বিষয়টি অগ্রাধিকার দিতে হবে। এছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি ও কর্মপরিবেশের বিষয়টি সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে পালন করতে হবে। ফলে ৫০ শতাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়েও অফিস পরিচালনা করা যাবে। এ সময়ে ব্যাংকের সব ধরনের লেনদেন চালু থাকবে।

রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলো সরকারি নির্দেশনা মেনে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা ছিল। এই বাজারগুলোতে মানুষের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে মানুষের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে বরাবরের মতো মানুষের উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মানুষকে বুঝিয়ে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছেন। কোথাও কঠোর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

সোমবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, লকডাউনের মধ্যে রাজধানীতে চলাচল করা বিভিন্ন ধরনের গাড়ি গণপরিবহণ নয়। আর অফিসের সঙ্গে তাদের চুক্তিবদ্ধ হয়েছে, কর্মকর্তাদের আনা-নেওয়ার জন্য শুধু গাড়িগুলো ব্যবহার হচ্ছে।

লকডাউনেও রাজধানীতে গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে-এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, রাজধানীতে গণপরিবহণ নেই। আপনারা নিশ্চয়ই সেটি লক্ষ করেছেন। যদি চলে, বিভিন্ন অফিসে তাদের প্রয়োজনীয় কর্মকর্তা এনে সীমিত পরিসরে তাদের প্রয়োজন অনুসারে অফিস পরিচালনা করবেন, সে ক্ষেত্রে এ পরিবহণগুলো তারা নিজেরা ব্যবস্থা করেছেন, এগুলো গণপরিবহণ নয়। অফিসের সঙ্গে তারা চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন, কর্মকর্তাদের আনা-নেওয়ার কাজে শুধু ব্যবহৃত হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রাজধানী থেকে দূরপাল্লার গাড়ি ছেড়ে যাওয়ার খবর তার কাছে নেই। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে, তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রেক্ষিতে আগামী ৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজসহ পাঁচটি আর্মি মেডিকেল কলেজের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের এমবিবিএস কোর্সের ভর্তির লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এ পরীক্ষার নতুন সূচি পরে জানিয়ে দেখা হবে।

র‌্যাবের অভিযানে ২৫ জনকে জরিমানা : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সাতদিনের সরকারি বিধি-নিষেধের প্রথম দিনে রাজধানীতে কঠোর ছিল না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে বিভিন্ন স্থানে আইন-প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। পুলিশ ও র‌্যাবের পক্ষ থেকে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষকে সরকারি নির্দেশনা মানতে মাইকিং, মাস্ক বিতরণ এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে নির্দেশনা অমান্যকারীদের জরিমানাও করা হয়েছে। শাহবাগে র‌্যাব-৩ এর পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা করে ২৫ জনকে বিভিন্ন অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন ক্রাইম বিভাগগুলো বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে মাইকিং, মাস্ক বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। জনসাধারণের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়েছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।

শাহবাগে অভিযান পরিচালনাকারী র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু যুগান্তরকে বলেন, সকাল সাড়ে ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত অভিযানটি চালানো হয়। বিধি-নিষেধ কার্যকর করা, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মাস্ক বিতরণে অভিযানটি পরিচালিত হয়। সেখানে দুই হাজারেরও বেশি মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। মাস্ক না পরা এবং সরকারের আদেশ পালন না করার কারণে ২৫ জনকে বিভিন্ন অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।

র‌্যাবের অভিযানের সময় দেখা যায়, অহেতুক মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছে। এমনো দেখা গেছে, রাস্তায় কী হচ্ছে সেটা দেখতে মানুষ ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বের হয়ে যাচ্ছেন। তারা আবার মাস্কও পরছেন না। অভিযানের সময় র‌্যাব একটি প্রাইভেটকার আটকে বাবা-ছেলেকে জরিমানা করেছে। ওই প্রাইভেটকারটি চালাচ্ছিল ১৩ বছরের এক কিশোর। পাশে তার বাবা বসেছিলেন। তাদের মুখে মাস্কও ছিল না। তারা জরুরি কারণ ছাড়াই রাস্তায় বের হয়েছিলেন।

ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, ঢাকার তিনটি প্রধান বাসটার্মিনাল সায়েদাবাদ, গাবতলী এবং মহাখালী থেকে দূরপাল্লার কোনো গণপরিবহণ ছেড়ে যেতে দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি ঢাকার বাইরে থেকেও কোনো দূরপাল্লার বাস রাজধানীতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এছাড়া রাজধানীতে চলাচলকারী সরকারি গণপরিবহণসহ সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ পরিবহণগুলো চলাচল বন্ধ করতে ভোর থেকেই তৎপর ছিল ঢাকার বিভিন্ন ট্রাফিক বিভাগ। সূত্র : যুগান্তর। আজকের তানোর

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.