রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:১৩ am
নিজস্ব প্রতিবেদক :
২০১৬ সালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ছয়তলা ভিত বিশিষ্ট দ্বিতল অফিস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
প্রস্তরটি অফিসের প্রধান ফটকের নিকটবর্তী রাস্তার পাশে ছিল। কিন্তু সম্প্রতি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সামনের গেট নির্মাণ কাজ করার সময় ওই ভিত্তি প্রস্তরটি তুলে সেখানে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর রাজশাহীর সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাছিম রেজার নামফলক বসিয়েছে।
শেখ নাছিম রেজা অত্র অধিদপ্তরের অভ্যন্তরীণ রাস্তা, সীমানা প্রাচীর ও মেইন গেট নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। এই নাম ফলকে আরও কয়েক জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহফুজুল আলম লোটন বলেন, ‘এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন শুধু রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র নন, তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য। তিনি ২০১৬ সালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর রাজশাহীর ছয়তলা ভিত বিশিষ্ট দ্বিতল অফিস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।
‘এখন যেখানে নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাছিম রেজার নামফলক বসানো হয়েছে, সেখানে মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামানের ভিত্তি প্রস্তর ছিল। এই ভিত্তিপ্রস্তর তুলে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কিছুদিন সিঁড়ির নিচে এবং পরে গোডাউনে ফেলে রাখেন। এ নিয়ে তিনিসহ আরও অন্যান্য আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ প্রতিবাদ করলে গত কয়েকদিন আগে অত্র অফিসের সিঁড়ির পশ্চিম পাশে পুরাতন একটি দেওয়ালের সঙ্গে লাগিয়ে দিয়েছে।’
মাহফুজুল আলম লোটন বলেন, কার ইঙ্গিতে এবং কোন সাহসে মেয়রের নামকফলক তুলে সেখানে অন্য আরেকজনের নামফলক স্থাপন করেছে তারা। এ নিয়ে তিনিসহ আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের এই ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সেইসঙ্গে যথাস্থানে মেয়রের ভিত্তিপ্রস্তরটি স্থাপনের দাবিসহ যারা এই কর্মকাণ্ডে জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।
এ বিষয়ে জানতে মঙ্গলবার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে অত্র অফিসের কর্মচারীরা বলেন, তিনি বর্তমানে অফিসে নেই। তিনি রাজশাহীর বাইরে আছেন।
যোগাযোগ করার জন্য তার মোবাইল নম্বর চাইলে তারা বলেন, তিনি একেবারেই নতুন। বিধায় তার মোবাইল নম্বর তাদের কাছে নেই।
এ বিষয়ে জানতে নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাছিম রেজাকে একাধিকবার মুঠোফনে কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। রা/অ