শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:১২ pm
এম এম মামুন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
কোন অবস্থায় ‘জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না’ এমন সরকারি নির্দেশ থাকলেও রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় ফসলি কৃষি জমি গুলো পরিণত করা হচ্ছে গভীর পুকুরে। অপরিকল্পিতভাবে উপজেলার ঘাসিগ্রাম ইউনিয়নের গোছা-নরায়পুর মরা বিলে মাটির নীচ দিয়ে নির্মাণ করা গভীর নলকূপের ড্রেন তুলে ফেলে ১২/১৫ বিঘা ফসলি জমি বিনাশ করে পুকুর খনন করছে মোহনপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক।
এক্সক্যাভেটর দিয়ে খনন করা হচ্ছে পুকুর। এতে একদিকে জমির উর্বরতা হ্রাস পাচ্ছে, অন্যদিকে বিনাশ হচ্ছে ফসলি জমি। কমছে ফসলি জমির পরিমাণও। কৃষকরা পুকুর খনন বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জমা দিয়ে কোনো সুরাহা মিলছে না।
অভিযোগ উঠেছে, মোহনপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক স্থানীয় প্রভাবশালীরা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ম্যানেজ করে অবৈধভাবে এসব পুকুর খনন করছে। এতে সাধারণ কৃষকরা ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুর রাজ্জাকের কাছে পুরোপুরিভাবে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। এমনকী পুকুর খনন করতে জমি ইজারা না দিতে চাইলে জমির মালিকদের ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছ।
স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, একের পর এক খনন করা পুকুরে গিলে খাচ্ছে ফসলি জমি। কৃষকদের অভিযোগ, নানাভাবে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলছে এসব পুকুর খনন কাজ।
মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়শা সিদ্দিকা বলেন, কৃষি জমি সুরক্ষায় আইন আছে। তবে শ্রেণি পরিবর্তন করে পুকুর খনন করা যাবে না। পুকুর খনন বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. শামীম আহমেদ বলেন, ফসলি জমিতে পুকুর খননের ওপর সরকারের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। কেউ ফসলি জমিতে পুকুর খনন করলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি কেউ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয়, আর তার অভিযোগ যদি আমার কাছে আসে তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রা/অ