বৃহস্পতিবর, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:৩২ am
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাগমারায় এক প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে কৃষকদের বঞ্চিত করে একটি গভীর নলকূপ অবৈধভাবে দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ওই গভীর নলকূপটি অবৈধ দখলের কবল থেকে উদ্ধার করে কৃষকদের জন্য উন্মক্ত করে দেওয়ার দাবিতে বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) বাগমারা জোনের সহকারী প্রকৌশলী ও উপ-সহকারি প্রকৌশলীর কাছে এলাকার কৃষকদের পক্ষে পৃথকভাবে দুটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগপত্রে খাজুর করখন্ড গ্রামের আমজাদ হোসেন, রেজাউল করিম ও আব্দুর রহিমসহ ৪০ জন কৃষক স্বাক্ষর করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) এর অধীনে কৃষকদের জমিতে সেচসুবিধার জন্য সম্প্রতি গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের খাজুর করখন্ড গ্রামে ২নং গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। গভীর নলকূপটি স্থাপনের পর থেকেই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আল মামুন ক্ষমতার জোরে ওই গভীর নলকূপটি একক মালিকানা হিসাবে দাবি করে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন। এমনকি ওই গভীর নলকূপের অপারেটর হিসাবে তার স্ত্রী মোছা: স্বপ্না বিবিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই গভীর নলকূপের আওতায় মামুন কিংবা তার স্ত্রীর নামে কোনো জমি নাই।
কৃষকদের জমিতে সেচসুবিধার জন্য গভীর নলকূপটি স্থাপন করা হলেও একক মালিকানা হিসাবে গভীর নলকূপটি পরিচালিত হওয়ায় কৃষকদের কাছে থেকে অতিরিক্ত সেচভাড়া আদায় করা হচ্ছে এবং বোরো ও আউশ মওসুমে কৃষকদের জমি থেকে চার ভাগের এক ভাগ হারে ধান কেটে নেওয়া হয়। এতে কৃষকরা চাষাবাদ করে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। তবে আল মামুন প্রামানিক এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) এর নিয়ম মেনেই গভীর নলকূপটি পরিচালিত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম করা হয়নি।
এদিকে বিএমডিএ বাগমারা জোনের সহকারী প্রকৌশলী শাহাদৎ হোসেন কৃষকদের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে দুটি অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। রা/অ