শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:৫৩ am
ক্রীড়া ডেস্ক :
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে বিপিএলের দশম আসর শুরু করেছে। আসরে প্রথম ম্যাচে হোঁচট খেয়েছে দুর্দান্ত ঢাকা’র কাছে। শরীফুলের হ্যাটট্রিকের পর নাঈম শেখের দুর্দান্ত ফিফটিতে কুমিল্লাকে ৫ উইকেটে হারিয়ে মিশন শুরু করলো মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ঢাকা।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) মাঠে গড়িয়েছে বিপিএলের দশম আসর। তবে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দর্শক উপস্থিতি লক্ষণীয়। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে টসে জিতে গতবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লাকে ব্যাটে পাঠায় দুর্দান্ত ঢাকা। ১৮তম ওভার পর্যন্ত এক উইকেট হারালেও ধীর গতিতে রান তুলেছে তারা। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান করে কুমিল্লা। জবাবে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত ১৯.৩ ওভারে ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে ঢাকা।
১৪৪ রানের লক্ষ্যে নেমে ঢাকাকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও দানুশকা গুনাতিলাকা। উদ্বোধনী জুটিতে ১০১ রান করেন তারা। ফিফটি পূর্ণ করে ১৩তম ওভারের চতুর্থ বলে ফিরে যান নাইম। তিনটি করে চার ও ছক্কায় ৪০ বলে ৫২ রান করেন তিনি।
১৫তম ওভারের তৃতীয় বলে দ্বিতীয় ব্যাটারকে হারায় ঢাকা। চারটি চার ও একটি ছক্কায় ৪২ বলে ৪১ রান করে তানভীর ইসলামের দ্বিতীয় শিকার হন গুনাতিলাকা।
১৬তম ওভারের শেষ বলে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন লিটন কুমার দাস। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে উপরে বল তুলে দেন লাসিথ ক্রসপুল্লে। উইকেটের পেছন থেকে দৌড়ে গিয়ে বল গ্লাভসবন্দী করেন লিটন। ৮ বলে ৫ রান করেন ক্রসপুল্লে।
১৯তম ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ১৩৩ রানে সাইফ হাসানকে সরাসরি বোল্ড করে ফেরান সাইফ হাসান। ৮ বলে ৭ রান করেন সাইফ। ২০তম ওভারের দ্বিতীয় মোস্তাফিজের শিকার হয়ে ফিরে যান ইরফান। ১৬ বলে ২৪ রান করেন।
এরপর মোসাদ্দেককে সঙ্গী করে ইনিংসের ৩ বল বাকী থাকতে ঢাকাকে জয়ের বন্দরে পৌঁছান চতুরাঙ্গা ডি সিলভাকে। ১ বলে ৬ রান করেন সিলভা, মোসাদ্দেক ২ বলে ১ রান।
কুমিল্লার হয়ে তানভীর ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান দুটি,খুশদিল শাহ একটি করে উইকেট নেন। এর আগে কুমিল্লার ইনিংসের শেষ ওভারে আসরের প্রথম হ্যাটট্রিক তুলে নেন শরীফুল। ওভাবের প্রথম বলটি ছিল ডট। পরের দুই বলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পাকিস্তানি ব্যাটার খুশদিল শাহ দুটি ছক্কা হাঁকান। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে হ্যাটট্রিকের স্বাদ নেন শরিফুল। পরের তিন বলে একে একে ফেরান খুশদিল শাহ, রোস্টন চেজ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে।
আসরে কুমিল্লার নেতৃত্ব পাওয়া লিটন দাস ওপেনিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ভুগেছেন। শেষপর্যন্ত তাকে মুক্তি দেন লঙ্কান স্পিনার চতুরাঙ্গা ডি সিলভা। নাঈম শেখের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে ১ চার ও ১ ছক্কায় ১৬ বলে ১৩ রান করেন। লিটনের বিদায়ের পর হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয় ও ইমরুল। দুজনের ১০৭ রানের জুটিতে শক্ত ভিত পায় কুমিল্লা।
হৃদয় ফিফটি মিসের (৪১ বলে ৪৭ রান) হতাশা নিয়ে ফিরলেও চলতি আসরের প্রথম ফিফটি হাঁকিয়েছেন ইমরুল কায়েস। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে কুমিল্লাকে টেনে নিয়ে গেছেন তিনি। তাসকিন আহমেদের বলে শরীফুলকে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৫৬ বলে করেছেন ৬৬ রান।
১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে ফিফটি মিসের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়েন তাওহীদ হৃদয়। ১ চার ও ২ ছক্কায় ৪১ বলে ৪২ রান করে ফিরে যান তাসকিনের শিকার হয়ে। ওভারের শেষ বলে ইমরুলকে ফেরান তাসকিন। ৬টি চার ও দুটি ছক্কায় ৫৬ বলে ৬৬ রান করেন কায়েস।
পরে শেষ ওভারে হ্যাটট্রিক তুলে নেন শরীফুল। ঢাকার হয়ে শরীফুল তিনটি, তাসকিন দুটি ও সিলভা একটি করে উইকেট নেন। রা/অ