রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:০৯ am
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীতে বৃহস্পতিবার ভোরে হয়ে গেছে । এই বৃষ্টি বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের তীব্রতা। হাড়কাঁপানো শীতে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষের বিড়ম্বনা ছিল আরও বেশি। গত কয়েকদিন থেকে রাজশাহীতে শীত একটু বেশি।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ভোর ৬টা ১০ মিনিটে রাজশাহীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। শেষ হয় ৬টা ৩৬ মিনিটে। সব মিলে শুন্য দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।
রাজশাহীতে বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ভোর ৬টা ও সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির কারণে শীতের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে দিনের তাপমাত্রা বাড়বে ও রাতের তাপমাত্রা আরও কমে যাবে। দুয়েকের মধ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে।
এদিকে বৃষ্টির কারণে জনজীবনে ভোগান্তি নেমে এসেছে। বিশেষ করে বৃষ্টির আগাম প্রস্তুতি না নিয়ে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ যারা বাড়ি থেকে বের হয়েছেন, তাঁদের বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
নগরীর দড়িখরবোনা এলাকার রিকশাচালক হযরত আলী বলেন, ‘ভোরে রিকশা নিয়ে বেরিয়েছি। ভাবিনি বৃষ্টি হবে। তাই বৃষ্টির জন্য ছাতা বা পলিথিন কিছুই নিয়ে আসিনি। এখন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে ঠান্ডা সহ্য করে রিকশা চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। হাত-পা হিম হয়ে যাচ্ছে।’
উপশহর নিউমার্কেট এলাকায় রিকশাচালক জিয়ারত আলী বলেন, খুব ভোরে তিনি যখন রিকশা নিয়ে বের হন, তখন কুয়াশার মধ্যে ফোঁটা ফোঁটা পানি পড়ছিল। তিনি ভেবেছিলেন, শিশির পড়ছে। তাই বৃষ্টির কোনো প্রস্তুতি নেননি। খানিক বাদেই যখন বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ে, তখন তিনি বুঝতে পারেন- এ কোনো শিশিরবিন্দু নয়, গা হিম করা পৌষের বৃষ্টি! এখন পেটের দায়ে বৃষ্টিতে ভিজেই রিকশা চালাতে হচ্ছে তাঁকে।
সকাল ১০টার দিকে নগরীর রেলগেটে কোদাল আর ডালি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন কিছু মানুষ। তাঁরা জানান, প্রতিদিন তাঁরা এখানে এসে দাঁড়ান। শহরের বিভিন্ন এলাকার লোকজন দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য তাঁদের নিয়ে যান। প্রতিদিন সকাল ৮টার মধ্যেই তাঁরা কাজে লেগে পড়েন। কিন্তু বৃষ্টির কারণে গতকাল কেউ তাঁদের কাজের জন্য নিতে আসেনি। রা/অ