রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:১২ pm
ভোটকেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার অবরুদ্ধ, পুলিশ আর বিজিবির উপর হামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
রাজশাহীর তানোরে ভোটকেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার অবরুদ্ধ ও আনসার, পুলিশ আর বিজিবির উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এঘটনার পরদিন সোমবার দিবাগত রাতে মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে এক মেয়রপুত্র ও ভাইসহ নামধারী ২৮ ব্যক্তির বিরুদ্ধে তানোর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নম্বর-৬, তারিখ-৮ জানুয়ারী। ওই মামলার সূত্রধরে সোমবার রাতেই মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র সাইদুর রহমানের পুত্র সাদসহ ৭ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মেয়রপুত্র মোহাম্মাদ সাদ (৩০), শামীম (৪০), জাইদুর রহমান (৪৫), মফিজুল ইসলাম (২৫), মিনহাজ আলী (২১), শাহারিয়ার জামান (২১) ও তুহিন ইসলাম (২১)। তাদের বাড়ি মুন্ডুমালা ও সাদিপুর মহল্লায়। তবে, এই মামলার প্রধান আসামী আ.লীগের বিদ্রোহী কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী গোলাম রাব্বানীর ছোট ভাই শরিফুল ইসলাম (৫০) পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ৭ জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন রাজশাহী-১ (তানোর- গোদাগাড়ী) আসনে তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌরসভাস্থ ১৯ নম্বর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। পরে ভোট গণনা শেষে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা জনস্বাস্থ্য সহকারী প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন প্রাপ্ত ভোটের রেজাল্ট প্রকাশ্য স্থানে শুনানী করেন। এসময় প্রিজাইডিং অফিসার নৌকা প্রতীকের প্রাপ্ত ভোট ৭৬৩। আর কাঁচি প্রতীকের প্রাপ্ত ভোট ৬৬৩ বলে ঘোষণা দেন। তখন কাঁচি প্রতীকের সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে প্রিজাইডিং অফিসারকে পূনরায় ভোট গণনার জন্য চাপ দেন। পরে পূনরায় ভোট গণনা করা হলেও একই ফলাফল পাওয়া যায়।
ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. জাকির হোসেন বলেন, ভোটের এমন রেজাল্ট মানি না বলে কাঁচি প্রতীকের সমর্থকরা আমাকে ও পোলিং অফিসারদের কেন্দ্র থেকে বের হতে বাঁধা দিয়ে ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও হামলা ভাংচুর করে। এতে বেশ কিছু পুলিশ ও বিজিপি আহত হয়। পরে ভোট কেন্দ্রে নিয়োজিত আনসার ভিডিপি ও পুলিশ লাঠি চার্জ করে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সহকারি কমিশনার (ভূমি)’র নির্দেশে বিজিপি ফাঁকা ফায়ার করে।
এব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, ঘটনাটি নিয়ে মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার প্রেক্ষিতে ৭ আসামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ স্কটের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে প্রধান আসামী শরিফুল ইসলামকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি। রা/অ