রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:০৭ am
ডেস্ক রির্পোট :
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলার রায় ঘোষণার সময় আদালত বলেছেন, ‘কোন নোবেল বিজয়ীর নয়, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূসসহ মামলার আসামীদের বিচার করা হয়েছে।’
এদিকে সাজার রায়ের পর জামিন নিয়ে বের হয়ে ড. ইউনূস সাংবাদিকদের বলেন, ‘যে দোষ করিনি, সেই দোষে শাস্তি পেলাম। এই দুঃখটা মনে রয়ে গেল।’
সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূসসহ এই মামলার চার আসামীকে ৬ মাসের কারাদণ্ড ও দুটি ধারায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। মোট ৮৬ পৃষ্ঠার পূর্নাঙ্গ রায় পড়া সময়সাপেক্ষ উল্লেখ করে আদালত রায়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ পাঠ করেন। এসময় আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অপর আসামীরা উপস্থিত ছিলেন। একপর্যায়ে আদালত তার রায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিলে ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন আপিলের শর্তে আসামীদের জামিন চান। এরপর আদালত আপিলের শর্তে ড. ইউনূসসহ চার আসামীকে ১ মাসের জামিন দেন।
এদিকে রায় ঘোষণার পর ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন আজকের রায়কে নজিরবিহীন উল্লেখ করে সাংবাদিকদের বলেন, শ্রম আদালতের এ রায় অপূর্ণাঙ্গ। ড. ইউনূস আদালতের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাননি। এ রায়ের বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।’
অন্যদিকে, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছেন, ‘এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা আদালতে ন্যায় বিচার পেয়েছি। আজকের রায়ে প্রমাণ হয়েছে আইন সবার জন্য সমান। এছাড়া শ্রমিকদের ঠকালে যে শাস্তি পেতে হয় এ রায় তার একটি বার্তা।’
আলোচিত এই রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন খ্যাতিমান আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, তার স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, ব্যারিস্টার সারা হোসেনসহ দেশি বিদেশি অনেকে। আলোচিত এই রায়কে কেন্দ্র করে পুরানা পল্টনের বিজয়নগর স্থাপিত তৃতীয় শ্রম আদালতের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। যেখানে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এই মামলার অপর আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান এবং দুই পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। রা/অ