রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:১০ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
রাজশাহীর তানোর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বর্ষিয়ান বিএনপি নেতা সরনজাই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির) চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক খাঁন নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলের দিকে নৌকার প্রার্থী এমপি ফারুক চৌধুরীর নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয় সরনজাই ইউপির সিধাইড় ক্লাব মোড়ে।
সেখানে চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক খাঁন বক্তব্যে বলেন, আমি বিএনপি নেতাকর্মীদের ম্যাসেজ দিতে চায় যেহেতু বিএনপি ভোটে অংশগ্রহণ করেননি, সেহেতু আপনারা ভোট কেন্দ্রে যাবেন, ভোট বর্জন করা যাবে না, তানোরের সন্তান অভিজ্ঞ এমপি ফারুক চৌধুরীর নৌকা প্রতীকে ভোট দিবেন, কি দিতে পারবেন না। তার একথা শোনার পর উপস্থিত ভোটারেরা হাততালি দেয়া শুরু করেন। তখন চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন, আপনারা কি উন্নয়ন চান না, উন্নয়ন চাইলে এমপি ফারুক চৌধুরীর প্রতীকে ভোট দিতে হবে। তাহলে সরনজাই ইউপিতে বাকি উন্নয়ন হবে।
এসময় নৌকার প্রার্থী এমপি ফারুক চৌধুরী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল হোসেন, উপজেলা আ”লীগ সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন, সম্পাদক প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার উপস্থিত ছিলেন। সভা সঞ্চালনা করেন ইউপি আ”লীগের সম্পাদক আতাউর রহমান।
জানা গেছে, চলতি বছরে চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক খাঁন উপজেলা পরিষদ চত্বরের এক সভায় এমপির নিকট থেকে গলায় মালা নিয়েছিলেন। মালা নেয়ার পর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন। ওই দিন দিবাগত রাতে সরনজাই বাজারে তার চেম্বারে যোগদান করা হয়নি বলে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন এই আলোচিত চেয়ারম্যান।
সরনজাই ইউপি ও উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতারা বলেন, মোজাম্মেল চেয়ারম্যান বিশ্বাস ঘাতক। সে বিএনপি করত বলেই চেয়ারম্যান। সারা দেশে যখন ভোট বর্জনের ডাক দিয়েছেন বিএনপিসহ আন্দোলনে থাকা দলগুলো। আর মোজাম্মেল বিএনপির নেতাকর্মী দের ভোট কেন্দ্রে যেতে বলছেন। এরচেয়ে মীর জাফর আর কে হতে পারে। এসব না করে আওয়ামী লীগে যোগদানের পরামর্শ দেন নেতারা। কারন বিএনপিতে তার কোন স্থান থাকবে না। মোজাম্মেলের মত মীর জাফর কে দিয়ে নৌকার ভোট চাওয়া মানে কমে যাওয়া।
এবিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও বন্ধ পাওয়া যায়। রা/অ