বৃহস্পতিবর, ১৯ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ০৭:৩৩ am

সংবাদ শিরোনাম ::
পবায় উপজেলা প্রশাসনে ও কাটাখালি পৌরসভায় ভোগান্তি চিত্র নায়িকা পরীমণি পালন করলেন ‘বিবাহ বিচ্ছেদ’ দিন এক দফা দাবিতে রাজশাহীতে নার্সদের মিছিল শেষে মানববন্ধন প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ববাসীর জন্য রহমত : দুধরচকী রাজশাহীতে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ডলার সংকটে বাংলাদেশকে সার দিচ্ছে না সরবরাহকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের নাগরিক সংবর্ধনা বাতিল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বিচারিক ক্ষমতা পেলো সেনাবাহিনী আন্দোলনের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করলেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ বাগমারায় অধ্যক্ষ ও সভাপতির অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি গুজব : আসিফ মাহমুদ একদিনের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা রাজশাহী আসছেন আজ বাংলাদেশ ও ভারত ভিসা জটিলতায় চার যৌথ সিনেমা একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির আটক বৈরী আবহাওয়ার অজুহাতে বিদ্যুতের লোডশেডিং, অসহায় মানুষ বাগমারায় সাবেক এমপি এনামুল হক গ্রেফতার বাগমারায় মোমবাতির আগুনে ব্যবসায়ীর দোকান ও বসতবাড়ি পুড়ে ছাঁই মোহনপুরে চুরির মালামাল উদ্ধার, ১২ ঘন্টা পর চোর আটক মোহনপুরে ঈদে মিলাদুননবী (সা:) পালিত রাজশাহীতে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপিত
প্রবল ইচ্ছা শক্তিতে সফল ফ্রিল্যান্সার রাজশাহীর ওবাইদুল্লা মিম

প্রবল ইচ্ছা শক্তিতে সফল ফ্রিল্যান্সার রাজশাহীর ওবাইদুল্লা মিম

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রবল ইচ্ছা শক্তি আর পরিশ্রম যে মানুষকে সফলতার দার প্রান্তে পৌছে দেয় তার জলন্ত উদহারণ , রাজশাহীর ছেলে ওবাইদুল্লা মিম।এখনো শিক্ষা জীবন শেষ করতে পারেনি কিন্তু মাসে ইনকাম করেন লাখ লাখ টাকা,করেছেন একশত জনেরও বেশি ছেলেমেয়ের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা। শুধু কি তাই এই স্বপ্নবাজ তরুন কাজ করেন যুক্তরাষ্ট্র ,ফ্রান্স ,ফ্লিপাইন সহ বিশ্বের নানা দেশে । আর এই সব ঘটিয়েছেন ফ্রিল্যান্সিং করে । তবে এই সফলতার গল্প সহজ ছিল না।

বাবা মায়ের এক মাত্র সন্তান ওবাইদুল্লাহ মিম । স্কুল জীবন থেকেই আগ্রহ ছিলো মোবাইল ইন্টারনেটের প্রতি । দশম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় শিক্ষকের কাছ থেকে প্রথম ফ্রিল্যান্সিং শব্দটির সাথে পরিচিত হোন এই স্বপ্নবাজ তরুন । জানতে পারেন, ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে বিদেশি মার্কিন ডলার আয় করা যায়। সেই থেকে শুরু। দিনরাত ডলার আয়ের স্বপ্ন মাথায় নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার নেশায় এদিক-সেদিক ছুটোছুটি। যেভাবেই হোক তাকে ডলার আয় করতেই হবে।স্কুল জীবন শেষ করে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়।২০১৮ সালে তার মাথায় আসে পড়া লেখার পাশাপাশি ইন্টারনেট ও মোবাইলকে কাজে লাগিয়ে ইনকাম করার । আয় করতেও শুরু করে মিম। কিন্তু তার এই কাজের পরিধী বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন হয়ে পরে কম্পিউটারের । বাবাকে বললে অল্প দামের মধ্যে একটি কম্পিউটার কিনে দেন ।কাজ চলতে থাকে মিমের আয় ও শুরু হয়।

২০১৯ সালে তার সাথে পাঁচজনকে কাজে যুক্ত করেন ।বছর শেষে দশজন কে নিয়ে “ফরওয়ে বাংলাদেশ” নামে একটি কম্পানী খুলে বসে। এই যে যাত্রা শুরু গুটিগুটি পায়ে সেই কম্পানী গতকাল ২১ ডিসেম্বর ৩ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান করলো । এখন তার কম্পানীতে কাজ করছে একশতজনের ও বেশি ছেলে মেয়ে।

মিম বলেন আসলে আজকের এই কম্পানী খুব সহজে এই অবস্থায় আসেনি ,অনেক কষ্ট করতে হয়েছে আমাকে । দশজন নিয়ে কম্পানী শুরু করার তিন মাসের মাথায় আমরা পাঁচজন কাজ ছেড়ে চলে যায়। তবুও আমি হাল ছাড়িনি । কেউ যদি মনে করেন ফ্রিল্যান্সিং করে এক রাতে বড় লোক হয়ে যাবো এটাভুল। অনেক ধৈর্য ধরতে হয়। এই কাজ করতে গিয়ে রাতে ঘুম হয়না। ভোরে ঘুমিয়ে আবার কলেজে চলে যায় এই ভাবে দিন কাটে ।তবে আমি সব সময় চিন্তা করেছি আমার সফল হতেই হবে। আমার চাকরি করার কখনো চিন্তা ছিলোনা। আলহামদুলিল্লাহ এখন আমার সাথে কাজ করছে সার দেশ থেকে একশজনের ও বেশি ছেলে মেয়ে।আমি ভবিষ্যতে পাঁচশত জনের ও বেশি ছেলে মেয়ে নিয়ে কাজ করতে চাই। তৈরি করতে চাই অসংখ্য পরিবারের কর্মসংস্থান। রা/অ

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.