শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:৪৬ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক :
নির্বাচন কমিশনের আপিল শুনানিতেও ছিটকে পড়লেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম রাব্বানী ও আখতারুজ্জামান। তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়পত্র দাখিল করেছিলেন।
নির্বাচনি আসনের মোট ভোটারের ১ শাতাংশ ভোটারের স্বক্ষরে গড়মিল থাকায় ইসির ভবনে আপিল শুনানির চতুর্থদিনে তাদের প্রার্থীতা বাতিলের আদেশ বহাল রাখা হয়। ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এই দুই নেতাই হাই কোর্টে যাবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
রাজশাহী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আখতারুজ্জামান বলেন, আমার ৩০১ নম্বর সিরিয়ালের নির্বাচন কমিশনের আপিল শুণানি বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় শুরু হয়। এখানেও নির্বাচন কমিশন বলেছে ভোটারদের নমুনা স্বাক্ষরের সাথে মিল নাই তাই প্রর্থীতা বাদ করা হয়েছে।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আমি নির্বাচন কমিশনে ৮ জন ভোটারকে নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলাম তারা গ্রামের সাধাসিধে মানুষ। এসব মানুষ যখন ভোটার হয় তখনকার স্বাক্ষরের সাথে হুবহু মিল খুঁজছে। নির্বাচন কমিশন ভবনে সব প্যান্ট-শার্ট টাইপড়া ও অফিসারদের সামনে স্বাক্ষর করতে এমনিতেই ঘাবড়ে যাবে না?।
তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও মুন্ডুমালা পৌরসভার সাবেক মেয়র গোলাম রাব্বানী বলেন, ভোটারদের স্বাক্ষরের মিল না থাকায় এখানেও বাতিল করা হয়েছে। আমি আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলাম হয়তো এখানেও বাতিল করা হবে। শুনানিতে বললাম আমি তিনবারের সাবেক জনপ্রতিনিধি আমার এসব দক্ষতা আছে সাধারণ ভোটারদের এসব বিষয় কিছু না। তথন তারা হেসে বললেন এখানে হবে না । হাইকের্টে যান সেখানে এসব বিষয় পার হয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।
এই দুই নেতাই বলেন, আমরা এখানে ন্যয়বিচার পাইনি। হাই কোর্টে যাব আমরা। সেখানে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার আশা করছি।
উল্লেখ্য, গত ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই ও শুনানিতে এই দুই নেতাসহ আওয়ামী লীগ পন্থি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়া আরো দুই প্রার্থী চিত্র নায়িকা মাহিয়া মাহি ও আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণির্জ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আয়েশা আখতার জাহান ডালিয়ারও মনোনয়ন বাতিল করা হয়। গত ১১ নভেম্বর মাহি প্রার্থীতা ফিরে পান। অপরদিকে আগামী ১৫ ডিসেম্বর আয়েশা আখতার জাহান ডালিয়ার আপিন আবেদন শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। রা/অ