শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:০৯ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
আসছে আগামী ৮ই এপ্রিল রাজশাহীর তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল। এই কাউন্সিল ঘিরে বর্তমান আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম বাব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন নানাভাবে সমলোচিত হচ্ছেন। রাজনৈতিক মহলে কেউ তাদের নেতৃত্ব মানতে চাইছেন না।
নতুন মুখের আশায় সর্বস্তরের নেতাকর্মী তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। পাড়া মহল্লায় ও চায়ের আড্ডায় কেউ তাদের নাম গন্ধও নিচ্ছেন না। ফলে তানোরে আ’লীগের রাজনীতিতে একা হয়ে পড়েছেন রাব্বানী-মামুন।
নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সূত্রমতে, আ’লীগ ক্ষমতায় আসার পর মূলত ‘রাব্বানী’ পুরো তানোর উপজেলার সবকিছু তার কব্জায় নিয়ে গিলে খেতে শুরু করে। এতে তিনি ও তার দল সমলোচিত হতে থাকে। বিষয়টি স্থানীয় সাংসদ অবগত হয়ে তাকে দূরে সরে দেন।
এতে রাব্বানী ক্ষুব্ধ হয়ে এমপি ফারুক চৌধুরী রিবোধী অবস্থান নেয়। পরে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশা করেও লাভ হয়নি। আগামীতে আবারও মনোনয়ন প্রত্যাশায় মাঠে নগদ নারায়ন (টাকা) ছড়িয়ে ছিটিয়ে দলের সাধারণ নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে তিনি একটি মোহ সৃষ্টি করতে চাইছেন।
কিন্তু মেয়রপদ যাবার পর টাকা ছিটানো বন্ধ হয়ে গেছে। অপরদিকে, পূর্বের ইউএনও সুশান্ত কুমার মাহাতো ইস্ট্যান্ড রিলিজ হওয়ায় আর নতুন করে প্রশাসনকে ব্যবহার করতে পারছেন না তিনি। ফলে প্রশাসনকে ব্যবহার করে নেতাকর্মীকে ভয় দেখিয়ে আগামী কাউন্সিলে সভাপতি পদে রাব্বানীর বিজয় অনিশ্চিত।
তৃণমূলের অভিযোগ, আসলে রাব্বানী এমপি ফারুকের বিরোধীতা করতে গিয়ে ও তাকে ঠেকাতে বিশেষ মহলের নেপথ্যে ও মদদে জামায়াত-বিএনপির বি-টিম হয়ে কাজ করছে। আর বিষয়টি উপলব্ধী করার পরপরই তৃণমূল তার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে গোলাম রাব্বানী ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, বেশ কয়েক মাস আগে মেয়রপদ ছেড়ে দিয়েছি। নেতাকর্মী চাইলে আগামীতে আ’লীগের সভাপতি পদও ছেড়ে দেব। আজকের তানোর