রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:২৭ pm
৫০ শতাংশ যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে গণপরিবহনগুলোতে। মাস্ক তো পরতেই হবে, গাড়িতে ওঠার সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজারও ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। কিন্তু বাড়তি ভাড়া আদায় করা হলেও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। বাসে দুই সিটে একজন যাত্রী থাকলেও দাঁড়িয়েও যেতে দেখা গেছে।
নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, অধিকাংশ বাসে পাশাপাশি দুটি আসনের একটি আসনে যাত্রী আছে। এক্ষেত্রে যাত্রীরাই পাশের আসনে অন্য কাউকে বসতে দিচ্ছেন না। কিন্তু আসন না পেলেও কাউকে দেখা গেলো দাঁড়িয়ে যেতে। অধিকাংশ বাসেই ছিল না হ্যান্ড সানিটাইজার। মাস্কও দেখা যায়নি অনেকের মুখে।
জানতে চাইলে মিডলাইন পরিবহনের চালক ইকবাল হোসেন বলেন, ‘যে পরিমাণ বাস থাকা দরকার সেই পরিমাণ নেই। অনেক জায়গায় যাত্রীরা সড়ক আটকে মিছিলও করেছে। যাত্রীরা জোর করে বাসে উঠতে চাচ্ছে। এখন তাদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করলে সবাই বলবে পরিবহনের লোকজন খারাপ।’
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘যত নিয়ম করা হয়েছে সব যাত্রীর সুরক্ষার জন্য। এখন তারা যদি না মানেন তবে আমাদের কী করার আছে। যাত্রীদের মানা করলে তারা তো উল্টো বলে, ক্ষতি হলে আমার হবে!’
৬নং মতিঝিল-বনানী ট্রান্সপোর্টে দেখা গেছে, পাশাপাশি দুটি আসনের মধ্যে একটি আসনেই যাত্রী বসেছেন। কিন্তু পরিবহনটির মাঝের বড় অংশ ফাঁকা। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মতিঝিল এলাকায় বাসটিতে কয়েকজন যাত্রীকে দাঁড়িয়েও থাকতে দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে চালক তড়িঘড়ি করে বলেন, ‘এরা এখনই নেমে যাবেন।’
একই চিত্র দেখা গেছে লেগুনাসহ অন্য পরিবহনগুলোতেও। খিলগাঁও রেলগেট থেকে গুলিস্তান রুটের প্রতিটি লেগুনায় দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। কিন্তু যাত্রী নেওয়া হয়েছে গাদাগাদি করেই।
এ সময় স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে জানতে চাইলে এক চালক বলেন, লেগুনার অনুমোদন নেই। এখানে স্বাস্থ্যবিধিও নেই। আমরা তো কাউকে জোর করে তুলছি না। মানুষের মধ্যেই করোনার ভয় নেই।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকার অফিসগুলোতে ৫০ শতাংশ জনবল দিয়ে পরিচালনা করার বিষয়টি নিশ্চিত না করেই ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলাচলের নির্দেশনা দিয়েছে। এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হলে সরকারকে দ্বিগুণ গণপরিবহনের ব্যবস্থা করতে হতো।
পল্টন মোড়ে দেখা গেছে সদরঘাট-গাজীপুরে চলাচলরত ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের নির্ধারিত ৫০ শতাংশ আসন ভর্তি থাকলেও যাত্রী ওঠানো হচ্ছে আরও। বাসে ওঠার সময় সামছুদ্দিন নামের এক যাত্রী বলেন, ‘৪০ মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে আছি। একটা বাস পাইনি। এখন কি বাসাবাড়ি যেতে পারবো না!’ সূত্র : বাংলাট্রিবিউন। আজকের তানোর