বৃহস্পতিবর, ১৯ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৪৬ pm

সংবাদ শিরোনাম ::
নিখোঁজের সাতবছর পর ছেলেকে ফিরে পেলেন উচ্ছ্বসিত মা তানোরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত রাসিকের সাবেক কাউন্সিলর মনসুরের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন সেই রুবেল আরও ৭ দিনের রিমান্ডে সিলেবাস সংক্ষিতের দাবিতে রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ পবায় উপজেলা প্রশাসনে ও কাটাখালি পৌরসভায় ভোগান্তি চিত্র নায়িকা পরীমণি পালন করলেন ‘বিবাহ বিচ্ছেদ’ দিন এক দফা দাবিতে রাজশাহীতে নার্সদের মিছিল শেষে মানববন্ধন প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ববাসীর জন্য রহমত : দুধরচকী রাজশাহীতে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ডলার সংকটে বাংলাদেশকে সার দিচ্ছে না সরবরাহকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের নাগরিক সংবর্ধনা বাতিল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বিচারিক ক্ষমতা পেলো সেনাবাহিনী আন্দোলনের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করলেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ বাগমারায় অধ্যক্ষ ও সভাপতির অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি গুজব : আসিফ মাহমুদ একদিনের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা রাজশাহী আসছেন আজ বাংলাদেশ ও ভারত ভিসা জটিলতায় চার যৌথ সিনেমা একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির আটক বৈরী আবহাওয়ার অজুহাতে বিদ্যুতের লোডশেডিং, অসহায় মানুষ
সব পেশার শেষ পরিনতি রাজনীতি? লেখক : রাজু আহমেদ

সব পেশার শেষ পরিনতি রাজনীতি? লেখক : রাজু আহমেদ

সাদিক স্যার, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, সাবেক বিচারপতি অমুক, সাবেক আমলা তমুক, সাবেক পুলিশ-সেনা কর্মকর্তা, নায়ক-নায়িকার দল, গায়ক-গায়িকার বহর,ক্রিকেটার-ফুটবলার, ডাক্তার সাহেব এমনকি শিক্ষকদের কেউ কেউ শেষ বয়সে এসে নমিনেশন কেনেন এবং এমপি হতে চান! ক্যারিয়ারের শেষে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বাছাই করা আদৌ দোষের কিছু নয়, নিষিদ্ধও নয় কিন্তু সময় হিসেবে কি এটা সঠিক সময়?
একজন মাঠের রাজনীতিবিদ রাজনীতি সম্পর্কে যা জানেন, যত ধরনের চাল খেলতে পারেন, জনগণকে যেভাবে সম্পৃক্ত করতে পারেন সেভাবে উল্লেখিতরা পারেন? পারার কথা নয়। সবচেয়ে বড় সমস্যা এটাও না। আরও বড় সমস্যা আছে!

একজন পেশাজীবী অবসরের পর এক দুইবার এমপি হতে পারেন! রাজনৈতিক দলগুলো তাদেরকে ইমেজ বাড়ানোর জন্য নমিনেশন দিলেও তাদের ওপর মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দিয়েছে এমন নজির বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে দু’একটি। যাও দু’একজন পেয়েছিল তারা সফলভাবে বিফল হয়ে পরে আর নমিনেশন পর্যন্ত পায়নি। তারা বিভিন্ন সেক্টরের উপদেষ্টা হিসেবে যতোটা পরাঙ্গম মন্ত্রী হিসেবে জনগণ ও মিডিয়ার আকাক্সক্ষা পূরণে ততোটা দক্ষ নন। সে কারনেই ব্যক্তিগত প্রোফাইল যত ভারীই হোক তাদেরকে সংসদ সদস্য পরিচয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়! সংসদীয় রাজনীতিতে আরও কিছু সম্মানের পদণ্ডপদবী আছে।

যদিও রাজনীতির জন্য আলাদা কোন নীতি নাই তবুও রাজনীতির মাঠকে পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ, ত্যাগী রাজনীতিবিদের কাছেই রাখা উচিত! একজন অন্যপেশার মানুষ যিনি জীবনে একটা মামলাও খাননি, থানা-আদালতের মুখোমুখি হননি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে পড়েননি তিনি এলাকায় গিয়ে এমপি হতে পারেন কিন্তু দলের মধ্যকার বিপক্ষদের সাথে এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের সাথে কৌশলে কুলিয়ে উঠবেন না। ফলাফলে তাঁর নির্বাচিত আসনটি উন্নয়নের গতিধারা থেকে বঞ্চিত হবে!

যারা রাজনীতি করেন তারা সার্বজনীন থাকেন না! একটা নির্দিষ্ট দলের ব্যানার বহন করার কারণে আরেকটি পক্ষ বিষোদগার করতে, এড়িয়ে চলতে, অপপ্রচার চালাতে শুরু করে। অথচ রাষ্ট্রের স্বার্থে আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের মত নিরপেক্ষ শিক্ষক বড্ড দরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে যে রাজনীতি, যে দলাদলি তা আকাক্সিক্ষত নয়। আদালত পাড়ায় দলের ব্যানার থাকায় কেউ সুবিধা পায় আবার কেউ বঞ্চিত হওয়ার যে রীতি তা বন্ধ হওয়া দরকার।

ছাত্রজীবন থেকে যারা রাজনীতি করেছে, যারা দলের সাথে ছিল, যারা কর্মীদের সুখ দুঃখ দেখেছে, যারা রাতে বাড়িতে ঘুমাতে পারেনি, যাদের মাথায় মামলার পর মামলা ছিল, বিরোধী পক্ষের আঘাত যাদের শরীর বহন করে তাদেরকে রাজনীতির লড়াইয়ে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। যারা রাজনীতির ‘র” বোঝে না তাদেরকে রাজনীতিতে সুযোগ দিলে স্থানীয় রাজনীতিতে দলীয় কোন্দল আরও বড়বে।

সব পেশাজীবিদের শেষ পরিনতিতে রাজনীতির পদণ্ডপদবি পাওয়ার বাসনা, সাংসদ হওয়ার দৌড় লক্ষণ হিসেবে শুভলক্ষণ নয়। এমন মানসিকতা সেবা প্রদানের জীবনে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করার প্রশ্ন উঠতে পারে। দপ্তর সামলানো আর কর্মী-সমর্থক সামলানোর মধ্যে যোজন যোজন তফাৎ। হুকুম দিয়ে, কাগজের ভয় দেখিয়ে অধীনদের দমিয়ে রাখা সহজ কিন্তু বিরোধীপক্ষের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়াতে হবে, দু’চার গা হজম করতেও হতে পারে-সেই সাহস, সম্মানের সেই ঠুনকো অবস্থা কি সাবেক শিক্ষক-আমলার আছে? দু’চার ডজন মামলায় হাজিরা দেয়ার শক্তি, জেল-জরিমানায় কাটানোর ধৈর্য তাদের আছে? যদি থাকে তবে বেশ। রাজনীতিতে নতুনধারা সূচিত হবে। কিন্তু যদি না থাকে তবে বৃহৎগোষ্ঠী তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হবে।

সবাই আসলে ক্ষমতার মধ্যে ঢুকতে চায়। এর একমাত্র এবং শুধুমাত্র পথ নির্বাচন। এখানে ক্ষমতার অপব্যবহার করা যায় আবার ক্ষমতার ব্যবহারও করা যায়! রাজনীতি ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হলে কী পরিনতি হয় তার কিছুটা আলামত রাষ্ট্র দেখেছ। একজন পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ একটু হলেও জনগণের মঙ্গলের কথা ভাবেন। জনতার কাছে দেয়া প্রতিশ্রুতি রাখেন। যারা শৈশব-কৈশোর থেকে দলের জন্য লড়াই-সংগ্রাম করেছেন, জেল-জুলুম সয়েছেন তারা জনতার কাছাকাছি আসতে পারেন। ধৈর্য ধরে সুখ দুঃখের কথা শুনতে পারেন। এসি রুম থেকে রাজনীতির মাঠের উত্তপ্ত কড়াইয়ে তারা কী করে নানা মত সামলাবেন, গালি-বকা সহ্য করবেন, রাজনীতির ভেতরের রাজনীতি ট্যাকেল করবেন সেটাই ভয়ের! রাজনীতিটা রাজনীতিবিদের হাতে রাখা যায় কিনা? অন্তত কিছু বছর তৃনমুলে কাজ করা, নির্বাচনের আসনের নেতাকর্মী-ভোটারদের পর্যন্ত পৌঁছা-এ অভিজ্ঞতা দেখা দরকার।

একজন ডাঃ প্রাণ গোপাল দত্ত স্যার সাংসদ নির্বাচিত হওয়া ছাড়াও তার এলাকাকে, গোটা দেশকে আরও বহুকিছু দিতে পারতেন। এরপরেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি মনে করেন রাষ্ট্রের বৃহৎ স্বার্থে কাউকে দরকার তাকে টেকনোক্র্যান্ট মন্ত্রী করে,উচ্চ সম্মানের উপদেষ্টা বানিয়ে তাদের সেবা গ্রহন করতে পারে। কিন্তু জটিল সমীকরণের নির্বাচনে অ-রাজনীতিবিদের জন্য সুবিধার জায়গা হবে না। সব পেশার শেষ পরিনতি রাজনীতি হলে প্রকৃত রাজনীতিবিদরাও যেভাবে বিব্রত হন, তাদের ভক্ত-অনুরক্তরাও হতাশ হন! রাজনৈতিক দলগুলো সবাইকে নমিনেশন দিতে পারবে না। কাজেই রাজনীতির বাইরের হাই-প্রোফাইলের যারা নমিনেশন বঞ্চিত হবে তাদের জন্য তাদের অনুসারীদের মন খারাপ হবে। নমিনেশন না কিনলে মন খারাপের সুযোগ সুষ্টি হতো না! (রাজু আহমেদ, কলামিস্ট)। সূত্র : এফএনএস

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.