রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০২:৫৯ pm
ডেস্ক রির্পোট :
দেশের রাজনীতিতে বিদেশি হস্তক্ষেপ রুখতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। শনিবার বিকালে চট্টগ্রামের লালদীঘিতে মহাসমাবেশে এ ঘোষণা দেন দলটির চেয়ারম্যান মাওলানা এমএ মতিন। চট্টগ্রাম জেলা শাখা আয়োজিত এই মহাসমাবেশে হাজার-হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। সমাবেশ শেষে একটি বিশাল র্যালি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমএ মতিন বলেন, জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে এলেই দেশি-বিদেশি কুচক্রীরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। নির্বাচন কীভাবে কোন পদ্ধতিতে হবে তা দেশের রাজনীতিবিদরা বসে ফয়সালা করবেন- এটাই কাম্য। কিন্তু রাজনীতিবিদরা আজ এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ। রাজনীতির নাটাই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে চলে যাওয়া রাজনীতিবিদদের জন্য বড় লজ্জার বিষয়। দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতি সরাসরি আঘাতের শামিল। এই হস্তক্ষেপ রুখে দিতে এবং দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আসা দরকার।
তিনি বলেন, এজন্য ইসলামী ফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ নেবে এবং সারা দেশে এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। অধিকারহারা দেশের শান্তিকামী সুফিবাদী জনতার অধিকার আদায়ে আসন্ন নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে দলে দলে ভোট দিয়ে সুন্নিয়তের পক্ষে ব্যালট বিপ্লব ঘটানোর আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক পথে না গিয়ে সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় বিরোধী দলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যক্ষ তৈয়ব আলীর সভাপতিত্বে মহাসমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা স উ ম আব্দুস সামাদ। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াম সদস্য এম সোলায়মান ফরিদ।
স উ ম আব্দুস সামাদ বলেন, সাংবিধানিক সংকট থেকে উত্তরণ, বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলা এবং আমাদের দেশকে কেন্দ্র করে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ইসলামী ফ্রন্ট আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মাস্টার মুহাম্মদ আবুল হোসেন, মুহাম্মদ এনামুল হক ছিদ্দিকী ও নাছির উদ্দীন মাহমুদের সঞ্চালনায় মহাসমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বাংলাদেশ মহাসচিব আল্লামা সৈয়দ মছিহুদ্দৌলা, অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান, অধ্যক্ষ আল্লামা আহমদ হোসাইন আলকাদেরী, অধ্যক্ষ ড. মাওলানা ইসমাইল নোমানী, মাওলানা সৈয়দ মোজাফ্ফর আহমদ মোজাদ্দেদী, মাওলানা রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী, অ্যাডভোকেট আবু নাছের তালুকদার, আল্লামা গিয়াস উদ্দিন তাহেরী, পিরজাদা মাওলানা মুহাম্মদ গোলামুর রহমান আশরফ শাহ, অধ্যক্ষ আল্লামা খলিলুর রহমান নেজামী, অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, অধ্যক্ষ মাওলানা আবু জাফর প্রমুখ। সূত্র : যুগান্তর