শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৭:৪১ am
শহিদুল ইসলাম (নিজস্ব প্রতিবেদক) নাচোল :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় নাচোল ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে।
আজ ১৪ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ১০টায় নাচোল ডায়াবেটিক সমিতি আয়োজিত ‘ডায়াবেটিসের ঝুঁকি জানুন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন’ প্রতিপাদ্যে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসের কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
শুরুতেই একটি শোভাযাত্রা নাচোল পৌর এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সমিতির কার্যালয়ে সমিতির সভাপতি আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, সম্মানিত অতিথি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সবুজ হাসান, নাচোল পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ ঝালুখান, মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মশিউর রহমান, নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউএইচএফপিও ডাক্তার কামালউদ্দিন, উপজেলা মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার দুলাল উদ্দিন খাঁন, নাচোল ডায়াবেটিক সমিতির ডাক্তার আব্দুর রব সিদ্দিকী।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, সমিতির সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম ও সমিতির সদস্যবৃন্দ এবং নাচোল মহিলা কলেজ ও নাচোল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
উপজেলা সহকারী কমিশনার সবুজ হাসান বলেন, ডায়াবেটিসের সমস্যায় আগেই রাশ টানার পাশাপাশি জীবনযাত্রায় খাদ্যাভাসেও পরিবর্তন আনতে হবে। ধূমপান এবং মদ্যপান বর্জন করা। নিয়মিত সুগারের লেভেল পরীক্ষা করা। নিয়ম মেনে ওষুধ খাওয়া এবং সারাদিন অন্তত ঘন্টাখানেক সময় হাঁটার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব।
ডাক্তার আব্দুর রব সিদ্দিকী বলেন, বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস সম্পর্কে বিশ্বময় সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এটি একটি ক্যাম্পেইন, যা প্রতিবছর ১৪ নভেম্বর পালিত হয়। বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস রোগ ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায়, বিশ্ব ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ) ১৪ নভেম্বরকে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস হিসাবে ঘোষণা করেন। ২০০৭ সাল থেকে পৃথিবী জুড়ে দিবসটি পালন শুরু হয়। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির অনুরোধে বাংলাদেশ সরকার ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালনের জন্য জাতিসংঘে প্রস্তাব করেন। ২০০৬ সালের ২০ ডিসেম্বর জাতিসংঘে এ প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
তিনি আরো বলেন, ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ হলো একটি গুরুতর ও দীর্ঘমেয়াদি অবস্থা। যখন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা দীর্ঘ সময় ধরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে, তখন এই সমস্যায় আক্রান্ত হয় মানুষ। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন টাইপ-২ ধরনের ডায়াবেটিসের ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই আগেভাগে সতর্ক থাকলে, শারীরিক পরিশ্রম করলে এবং খাদ্যাভাস জীবন যাপনে নিয়ন্ত্রণ আনলে ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব। কিন্তু একবার ডায়াবেটিস হয়ে গেলে আর এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। রা/অ