শনিবর, ২১ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:৩৭ am

সংবাদ শিরোনাম ::
দুদকের তালিকায় ১০০ ব্যক্তির সম্পদের পাহাড় গড়েছেন যারা আ.লীগ ১৪ দলীয় জোটের নেতা ও মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে ৭৫০ মামলা ঢাবিতে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিখোঁজের সাতবছর পর ছেলেকে ফিরে পেলেন উচ্ছ্বসিত মা তানোরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত রাসিকের সাবেক কাউন্সিলর মনসুরের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন সেই রুবেল আরও ৭ দিনের রিমান্ডে সিলেবাস সংক্ষিতের দাবিতে রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ পবায় উপজেলা প্রশাসনে ও কাটাখালি পৌরসভায় ভোগান্তি চিত্র নায়িকা পরীমণি পালন করলেন ‘বিবাহ বিচ্ছেদ’ দিন এক দফা দাবিতে রাজশাহীতে নার্সদের মিছিল শেষে মানববন্ধন প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ববাসীর জন্য রহমত : দুধরচকী রাজশাহীতে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ডলার সংকটে বাংলাদেশকে সার দিচ্ছে না সরবরাহকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের নাগরিক সংবর্ধনা বাতিল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বিচারিক ক্ষমতা পেলো সেনাবাহিনী আন্দোলনের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করলেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ বাগমারায় অধ্যক্ষ ও সভাপতির অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি গুজব : আসিফ মাহমুদ একদিনের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা রাজশাহী আসছেন আজ
বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমাণ্ডের মানববন্ধন

বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমাণ্ডের মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপি-জামাতের সমাবেশ থেকে পরিকল্পিত ভাবে দেশপ্রেমিক পুলিশ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আমিনুল পারভেজকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা, সাংবাদিকদের ওপর নগ্ন হামলা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাংচুর ও গণপরিবহন অগ্নিসংযোগে জড়িত ছাত্রদল-শিবিরের সন্ত্রাসীদেরকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ২৯ অক্টোবর রবিবার শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচী পালন করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমাণ্ড কেন্দ্রীয় কমিটি।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন এর সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাহবুবুল ইসলাম প্রিন্স।

আরোও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি খন্দকার লুৎফুল আজম, ইঞ্জি: কামরুজ্জামান রাজু, কানিজ ফাতেমা, শাহীন মাতুব্বর, সুজা সরকার জয়, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি: এনামুল হক মনির, দপ্তর সমন্বয়ক মুহাম্মদ নূর আলম সরদার, সদস্য মুবিয়া হাসান নিয়াত, শাহবাগ থানার সভাপতি হারুন মিয়াসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। সংগঠনের সভাপতি মাহবুবুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, “২৮ অক্টোবর আন্দোলনের নামে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসী কর্তৃক দেশপ্রেমিক পুলিশ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আমিনুল পারভেজকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা, সাংবাদিকদের ওপর নগ্ন হামলা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাংচুর ও গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এসব ন্যাক্কারজনক হামলার সাথে জড়িত ছাত্রদল-শিবিরের সন্ত্রাসীদেরকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আাগমী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দেশপ্রেমিক পুলিশ সদস্য আমিরুর ইসলাম পারভেজকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার নির্দেশদাতা ফখরুল-রিজভীকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় দেশব্যাপী বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করবে। দেশবিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামাতের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে।”

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, “গতকাল ২৮ অক্টোবর আন্দোলনের নামে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি আমেরিকা-ইসরায়লের দালাল বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসী কর্তৃক দেশপ্রেমিক পুলিশ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আমিনুল ইসলাম পারভেজকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমাণ্ড। বিভিন্ন গণমাধ্যমের ফুটেজ অনুযায়ী স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, বিএনপির সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের নেতৃত্বে দেশপ্রেমিক পুলিশ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আমিনুল পারভেজকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। স্বাধীনতার ৫২ বছর পর রাজাকারদের সন্তানদের হাতে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে নৃশংস ভাবে জীবন দিতে হলো যা স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।

রাষ্ট্রকে এর দায় নিতে হবে। বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করে অগ্নি সন্ত্রাসীদের বিচার করতে হবে। পুলিশ সদস্য পারভেজ হত্যার বিচার না হলে আমরা ঘরে বসে থাকবো না। আর নয় প্রতিবাদ, এবার হবে প্রতিরোধ। প্রয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সন্তানরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের হেডকোয়ার্টার বিএনপির দলীয় কার্যালয় ঘেরাও করবে। আমার ভাইয়ের রক্তের বদলা নেয়ার জন্য স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীদেরকে এবার রাজপথে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা সমুচিত জবাব দিবে। প্রশাসনের নিকট আহবান, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পুলিশ সদস্য আমিনুল ইসলাম পারভেজকে হত্যাকারী বিএনপির সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ হামলার নির্দেশদাতা ফখরুল-রিজভীকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় দেশব্যাপী কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করবে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমাণ্ড, কেন্দ্রীয় কমিটি। মধ্যযুগীয় কায়দায় হামলাকারী রাজাকারের সন্তান ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলকে যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা তাকে কঠোরভাবে প্রতিহত করবে। মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অপশক্তি বিএনপি ও জামাত-শিবির রাজাকারদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও এদের বংশধরদের নাগরিকত্ব বাতিল ও সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে। জামাত ইস্যুতে “নতুন বোতলে পুরনো মদ” থিওরী মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি কখনোই মেনে নিবে না।

জামায়াত-বিএনপির রাজনীতি এদেশে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্য কোন নামেও জামায়াতকে এদেশে রাজনীতি করতে দেয়া হবে না। বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা হিসেবে মেনে নিয়ে সকল দলকে রাজনীতি করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে আইন সংশোধন করে প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে বাধ্য করতে হবে। সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করতে হবে। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অপরাধে এদের রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। অন্যথায় নির্বাচন কমিশন ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করবে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা। দেশের যেকোন প্রান্তে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের ওপর কোন আঘাত আসলে সেখানে যেয়ে তাদের পাশে দাঁড়ায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমাণ্ড। সরকারের নিকট আহবান, বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে। পুলিশ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আমিরুল ইসলাম পারভেজের সকল হত্যাকারী ও নির্দেশদাতা ফখরুল-রিজভীকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলমান থাকবে।”

সহ-সভাপতি ইঞ্জি: কামরুজ্জামান রাজু বলেন, “বিএনপি-জামাতের সমাবেশ থেকে পরিকল্পিত ভাবে দেশপ্রেমিক পুলিশ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আমিনুল পারভেজকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা, সাংবাদিকদের ওপর নগ্ন হামলা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাংচুর ও গণপরিবহন অগ্নিসংযোগে জড়িত ছাত্রদল-শিবিরের সন্ত্রাসীদেরকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদেরকে রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। একাত্তরে পরাজিত হওয়ার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামাত আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। আগামীতে রাজাকারের বংশধরদেরকে আবার পরাজিত অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি জয়লাভ করবে। কোন স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে পারবে না। বিএনপি-জামাত আবার দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। খুনী জিয়ার দোসররা আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংসের পায়তারা চালাচ্ছে। অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে সমুচিত জবাব দিবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও আদর্শ অনুযায়ী বাংলাদেশ পরিচালিত হবে।

বিএনপির সমাবেশে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পুলিশ সদস্য আমিরুর ইসলাম পারভেজের ওপর রাজাকার পুত্রদের হামলার ঘটনায় প্রমাণ করে বিএনপি একটি মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী দল। সর্বোচ্চ শাস্তি না হলে এদেরকে সমুচিত জবাব দেয়ার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা কঠোর ভূমিকা পালন করবে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বেঁচে থাকতে কোন রাজাকারের দলকে এদেশে রাজনীতি করতে দেয়া হবে না। আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। সে প্রতিনিয়ত কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করে বিএনপির মুখপাত্রের মতো আচরণ করছে যা এদেশের জনগণ কখনোই মেনে নিবে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে পিটার হাসের ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি আবার রাজপথে নেমে এসে একাত্তর সালের ন্যায় মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদেরকে সমুচিত জবাব দিতে বাধ্য হবে।”

সহ-সভাপতি খন্দকার লুৎফুল আজম বলেন, “গতকাল বিএনপি-জামাতের সমাবেশ থেকে পরিকল্পিত ভাবে দেশপ্রেমিক পুলিশ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আমিনুল পারভেজকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা, সাংবাদিকদের ওপর নগ্ন হামলা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাংচুর ও গণপরিবহন অগ্নিসংযোগে জড়িত ছাত্রদল-শিবিরের সন্ত্রাসীদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা পিতারা অস্ত্র জমা দিয়েছে কিন্তু ট্রেনিং জমা দেয়নি। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সন্তানরা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে রয়েছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কোন ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা থামাতে পারবে না। একাত্তরে পরাজিত স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির কোন ষড়যন্ত্র এদেশে কখনোই সফল হবে না। আমাদের ভাই দেশপ্রেমিক পুলিশ সদস্য আমিরুর ইসলাম পারভেজকে হত্যাকারী বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীদেরকে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় আমরা রাজপথে কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করবো।”

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি: এনামুল হক মনির বলেন, “স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি আবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে অবশ্যই দেশবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাঁদের সন্তান হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির পক্ষে সবসময় আমাদেরকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। বর্তমান গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করে নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী কোন ধরনের দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র আমরা মেনে নিবো না। একাত্তরের পরাজিত স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির দোসরদের রাজনীতি স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বত্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদেরকে অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও রাজপথে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।”

সহ-সভাপতি কানিজ ফাতেমা বলেন, “বিএনপি-জামাতের সমাবেশ থেকে পরিকল্পিত ভাবে দেশপ্রেমিক পুলিশ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আমিনুল পারভেজকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা, সাংবাদিকদের ওপর নগ্ন হামলা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাংচুর ও গণপরিবহন অগ্নিসংযোগে জড়িত ছাত্রদল-শিবিরের সন্ত্রাসীদেরকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে সরকারকে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আমেরিকার কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। পিটার হাসকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নই আমাদের অঙ্গীকার-এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ২০১০ সালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমাণ্ড প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ও আদর্শ প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব। সমগ্র বাংলাদেশ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ঐক্যবদ্ধ করে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাতিল হওয়া মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ ও রাজাকারদের নাগরিকত্ব বাতিলের দাবিতে খুব শীঘ্রই রাজপথে নামবে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমাণ্ড। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামাতের কোন সন্ত্রাসী আন্দোলনের নামে কোন ধরনের নাশকতা বা সন্ত্রাস করলে তাদেরকে যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিহত করবে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা।”রা/অ

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.