শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:০২ am
সারোয়ার হোসেন, ভ্রাম্যমান প্রতিবেদক :
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। পরে ওই বিরোধপূর্ণ জমিতে আদালত থেকে ৪৪ ধারা জারি করা হয়।
এরপরও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি দিলীপ কুমার সরকার তপন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী হুমায়ন কবির তা তোয়াক্কা না করে জমি দখল করেন। আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় তাদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করে আগামী ১ নভেম্বর কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন বিজ্ঞ আদালত।
সূত্রে জানা গেছে, বিরোধপূর্ণ ওই সম্পত্তিতে প্রয়াত শ্রেষ্ঠ শিক্ষক বাবু রাখাল চন্দ্র দাসের স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। উপজেলার বাকশিমইল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পার্শে এ ঘটনা ঘটে রয়েছে।
একাধিকবার সরকারি বরাদ্দের অর্থ তসরুফ করার জন্য সাজানো এসব কথা বলেন সংশ্লিষ্টরা।
এবিষয়ে মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে রেজাউল করিম বাবু ও রফিকুল ইসলাম ডাবলু দিং বাদী হয়ে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা সহকারী বিজ্ঞ জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর-৯৮/২০২৩।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সাবেক তানোর থানার হাল বর্তমান মোহনপুর থানার বাকশিমইল মৌজার সি.এস-২০৪। আর এসএ-৩৪০ এর আরএস নম্বর-১ খতিয়ান। যার সাবেক দাগ ১৪৮। আর হাল দাগ-১৫৭। জমির পরিমান দশমিক ১৯ একরের কাত দশমিক ০৭২৫ একর। এই সম্পত্তির মালিক ছিলেন ইজুকুল্লাহ প্রাং। যার অংশ আট আনা। জিনুল্লাহ প্রাং সম্পত্তি ভোগ দখল করা অবস্থায় মারা গেলে তাহার ২ ছেলে মিছুরুল্লাহ প্রাং ও শুকুরুল্লাহ ওয়ারিশ হন। মিছুরুল্লাহ মৃত পরে তাঁর ছেলে ইসমাইল হোসেন মালিক বর্তায়। ইসমাইল মারা গেলে ওয়ারিস সূত্রে বাদীগণ মালিক হন।
কিন্তু এসব নিয়ম ও আইন ফারাজের তোয়াক্কা না করে রেজাউল করিম দিং গং উক্ত সম্পত্তি বেদখল করে। পরে রেজাউল করিম দিং ও চেয়ারম্যানসহ ছয়জনকে বিবাদী করে রাজশাহীর মোহনপুর সহকারী বিজ্ঞ জজ আদালতে একটি ১৩৭/২০০৭ নম্বর অঃপ্রঃ (বাটোয়ারা) মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার প্রেক্ষিতে রফিকুল ইসলাম ডাবলু গত ২০১৫ সালের ২৫ জুন বাদী পক্ষে রায় পান।
এহেন অবস্থায় চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম তাঁর আপন শ্যালক রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের এমপি আয়েন উদ্দিনের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে প্রভাব বিস্তার করে জমি দখল করেন। এছাড়াও তার নেতৃত্বে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করে যাচ্ছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
বাদী রফিকুল ইসলাম ডাবলু বলেন, যে কেউ আমাদের জমি বাজার মূল্যে ক্রয় বা অধিগ্রহন করে স্থাপনা/স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করবেন আর আমাদের কোন আপত্তি থাকবে না এটা দেশের কেমন আইন বলে ক্ষোভে আবেগে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জুরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এব্যাপারে মোহনপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালামের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় তার কোন মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। রা/অ