রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:০৮ pm
এম এম মামুন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীতে শারদীয় দূর্গাপূজার মন্ডপ গুলোতে মহাঅষ্ঠমী এবং কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১২ টা ৭ মিনিটে কুমারী পূজা শুরু হয় এবং মহাঅষ্টমী পূজা সকাল ৬ টা ১২ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নগরীর সাগরপাড়া ত্রিনয়োনী মন্ডপে বেলা ১২টা ৭ মিনিটে দেবীর আসনে অন্নপূর্ণা নামের ৭ বছর বয়সী এক শিশুকে দেবীর আসনে বসিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়। তার এই দেবী রুপের নাম দেওয়া হয় ‘উমা’। ১৬টি উপকরণ দিয়ে মহাষ্টমী পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়েছে। এরপর অগ্নি, জল, বস্ত্র, পুষ্প ও বাতাস—এই পাঁচ উপকরণে দেয়া হয় আসনে বসা ‘কুমারী’ পূজায়। অর্ঘ্য প্রদানের পর দেবীর গলায় পরানো হয় পুষ্পমাল্য। পূজা শেষে ভক্তরা মহাষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি দেন দেবীর চরণে।
অত্র মন্ডপের পুরোহিত শ্রী কুমার বর্মন মনে করেন, কুমারী কন্যার পূজা একাধারে সৃষ্টিকর্তার উপাসনা, মানবের বন্দনা আর পৃথিবীতে নারীর মর্যাদার প্রতিষ্ঠা। নারীর সম্মান, মানুষের সম্মান আর সৃষ্টিকর্তার আরাধনাই কুমারী পূজার অন্তর্নিহিত শিক্ষা। তাই তারা প্রতি বছর বিশেষ মর্যাদায় এই পূজা পালন করে থাকে।
তিনি বলেন, সনাতন শাস্ত্রমতে কুমারী কন্যাকে জীবন্ত প্রতিমো কল্পনা করে জগৎমাতার উদ্দেশ্য শ্রদ্ধা করা হয়। মনে করা হয় এই পূজার মাধ্যমে নারী হয়ে উঠবে পবিত্র ও মাতৃভাবাপন্ন। কুমারী দেবী কে সন্তুষ্ট করার জন্যই আমাদের এই আয়োজন।
মন্ডপে আসা দর্শনার্থীদের ভিতরে অধিকাংশ নারীদের লক্ষ করা যায়। কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা জানান, বছর ঘুরে তাদের মাঝে আবারো শারদ উৎসব এসেছে আর আজকে পালন করা হচ্ছে মহাঅষ্টমী এবং কুমারী পূজা তাই তারা প্রতিটি মন্ডপ ঘুরে ঘুরে দেখছেন এবং দেবীর কাছে নিজেদের জন্য বিশেষ প্রার্থনা করেন।
এছাড়াও পূজামণ্ডপগুলোতে পূজা দিতে আসা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। মণ্ডপে মণ্ডপে বেজেছে ঢাক, ছিল উলুধ্বনি। দেশ জাতি ও মানবজাতির শান্তি কামনায় প্রার্থনায় নিমগ্ন ছিলেন দেবী দুর্গার ভক্তরা। রা/অ