শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:৪৪ am
কে এম রেজা (নিজস্ব প্রতিবেদক) পুঠিয়া :
রাজশাহীর পুঠিয়ায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ধলাট সড়কটি অতি নিম্নমানে সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় এলাকাবাসীরা সড়কটি নিম্নমানের কাজের প্রতিবাদ করে কাজ বন্ধ করে দিয়ে ছিল। পরে ঠিকাদার উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে সমঝোতা করে পুনরায় চালু হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের ধলাট সড়কটি নির্মাণ করার জন্য দুইবার কাজের টেন্ডার দেওয়া হয়ে ছিল। মাত্র ৫২১ মিটার সড়কের কাপেটিং কাজের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৫৩ লাখ টাকা। কাজটি করছেন অনলাইন ট্রেডিং নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
মোস্তফা নামের এলাকাবাসী বলেন, দুইমাস আগ থেকে সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। প্রথম হতে ঠিকাদার নিম্নমানের ইটের খোয়া দিয়ে সড়কটির কাজটি করে আসছে। আমরা স্থানীয়রা উপজেলা প্রকৌশলীকে কয়েক বার অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু অফিস খারাপ কাজ হওয়ার পরও কাজটি তারা বন্ধ করেননি। পরে এলাকাবাসী একত্র হয়ে কাজটি বন্ধ করে দিয়েছি। একদিন বন্ধ থাকার পর আবার পুনরায় এলজিইডির প্রকৌশলী ঠিকাদারকে কাজটি করার অনুমতি দিয়েছেন।
আবদুর রাজ্জাক নামের এলাকার স্থানীয় বলেন, এত নিম্নমানের ইটের খোয়া সড়কে ব্যবহার করছে যে, রুলার করার পর সড়কে খোয়া দেখা যাচ্ছে না। মনে হয় এগুলো পোড়া মাটির দেওয়া হয়েছে। রুস্তম আলী বলেন, প্রকৌশলীর সঙ্গে ঠিকাদারের ঘুষের চুক্তি হওয়ার জন্য, আমাদের সড়কের খারাপ কাজ হওয়ার কোনো অভিযোগ শুনতেই চাইছে না।
তিনি বলেন, ঠিকাদারের নিকট টাকা নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী রাজশাহী হতে প্রাইভেট কারে করে পুঠিয়া সদরে আসেন। তারপর,তার অফিস কক্ষটি সাজসজ্জা এবং এসি করেছেন কয়েক লাখ টাকা ব্যয় করে। এ বিষয়ে ঠিকাদার কাউসার আলী রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে বলেন, আমি কাজটি এক ছোট ভাইয়ের নিকট কিনে নিয়েছি। এখানে পুকুর গর্ত ভরাট সড়ক নির্মাণ করতে হচ্ছে। খোয়াগুলি ইটের ভাটাতে ভাঙার সময়ে ভাটার লোকজন কিছু খারাপ ইটের খোয়া সড়কে ফেলেছে। এখনো নতুন ইট তৈরি হয়নি। ভাঁটা কর্তৃপক্ষকে বলেছি আগামীতে কোনো খারাপ ইটের খোয়া পাঠাবেন না।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী পারভেজ নেওয়াজ বলেন, সড়কটি কাজ খুবই ভালো হচ্ছে। ইটের খোয়া ভাটাতে ভাঙার জন্য কিছু খারাপ খোয়া এসে ছিল। এখন থেকে ঠিকাদারকে বলে হয়েছে খোয়া সড়কের পাশে ভাঙতে হবে। রা/অ