রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৩২ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী মহানগরীতে একটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারসহ দুই চোরকে গ্রেফতার করেছে শাহ্মখদুম থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মো. সাদিকুল ইসলাম (২৭) ও মো: ইয়ারাফুল পলাশ (২৫)। সাদিকুল ইসলাম রাজশাহী মহানগরীর শাহ্মখদুম থানার বড়বাড়িয়া উত্তরপাড়ার মো: সুলতান আহম্মেদের ছেলে ও ইয়ারাফুল পলাশ একই এলাকার মো: আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
জানা যায়, নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর থানার রামচন্দ্রপুরের মো: কাওছার আলী ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আসামি সাদিকুলের কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল ক্রয় করে। পরবর্তীতে কাওছার আলী মোটরসাইকেলের মালিকানা পরিবর্তন করার জন্য মোবাইল ফোনে সাদিকুলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সাদিকুল জানায়, সে এখন রাজশাহীতে নাই পরে এসে মালিকানা পরিবর্তন করে দিবে।
গত ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় সাদিকুল মালিকানা পরিবর্তনের জন্য কাওছারকে রাজশাহী বিআরটিএ অফিসে আসতে বলে। পরের দিন সাদিকুল দুপুর ১: ৪৫ টায় বিআরটিএ অফিসে এসে কাওছারের সাথে দেখা করেন। সেখানে সাদিকুল নাস্তার খাওয়ার কথা বলে কাওছারকে বিআরটিএ অফিসের সামনে একটি হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে নাস্তা খাওয়ার পরে বাহিরে এসে কাওছার দেখে তার মোটরসাইকেলটি নাই। মো: কাওছার আলী’র উক্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শাহ্মখদুম থানায় একটি চুরির মামলা হয়।
মামরা রুজু পরবর্তীতে আরএমপি’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এ.এইচ.এম আসাদ হোসেনের তত্ত্বাবধানে শাহ্মখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে এসআই মো: আব্দুল মতিন ও তাঁর টিম চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারসহ আসামি গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেন। তাঁরা আরএমপি’র অপারেশন কন্ট্রোল অ্যান্ড মনিটরিং সেন্টার ও বিআরটিএ অফিসের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় সাদিকুলের পিছনে আরেক ব্যক্তি হেলমেট পড়ে বিআরটিএ অফিসে প্রবেশ করছে। এতে তাদের দুজনকে সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে শাহ্মখদুম থানা পুলিশের গত ১৬ অক্টোবর রাত ১০:৩০ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আসামি সাদিকুলকে তার বাড়ি হতে গ্রেফতার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি সাদিকুল মোটরসাইকেল চুরির কথা স্বীকার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত ১১:৪৫ টায় অপর আসামি মো: ইয়ারাফুল পলাশকে মধ্য নওদাপাড়া তার মামার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। এসময় আসামির কাছ থেকে চোরাই মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি সাদিকুল জানায়, মোটরসাইকেলটি বিক্রি করার সময় সে কাওছারকে মোটরসাইকেলের চাবিসহ সব কাগজপত্র বুঝিয়ে দিলেও একটি চাবি তার কাছে রেখে দেয়। ঘটনার দিন সাদিকুল মোটরসাইকেলের ঐ চাবিটি অপর আসামি মো: ইয়ারাফুল পলাশকে দেয়। সে যখন কাওছারকে নিয়ে হোটেলে নাস্তা করছিলো এই সুযোগে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক ইয়ারাফুল পলাশ মোটরসাইকেলটি চুরি করে নিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। রা/অ