শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:০৫ pm
শাকিল হোসেন (নিজস্ব প্রতিবেদক) নিয়ামতপুর :
নওগাঁর নিয়ামতপুরে গৃহবধুকে শ্বশুড়-শ্বাশুড়ীর ও পরিবারের অন্যান্য সদস্য দ্বারা নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবিষয়ে নিয়ামতপুর থানায় মঙ্গলবার ১৭ অক্টোবর মেয়ের বাবা বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হাজিনগর ইউনিয়নের উপরকুড়া শালবাড়ীর গোলাম মোস্তফা তাঁর পুত্রবধুকেকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে মারাত্মকভাবে আহত করে। আহত গৃহবধু বর্তমানে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।
এব্যাপারে নির্যাতিত গৃহবধুর পিতা উপরকুড়া শালবাড়ীর হযরত আলী এ প্রতিবেদককে বলেন, আমার মেয়ের ১৩ বছর পূর্বে আমার নিজ গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে রবিউল ইসলামের সাথে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি গত ২ অক্টোবর বিকেল ৫টায় মোস্তফার ছেলে রুহুল আমীন (৪০) ও রুহুলের ছেলে রনি (২০) আমার মেয়েকে পারপিট করলে আমার মেয়ে মারাত্মকভাবে জখম হয় এবং পেটের বাচ্ছ নষ্ট হয়ে যায়। এবিষয়ে শিবপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে উভয়পক্ষকে ডেকে মিমাংশা করে দেয় পুলিশ।
এঅবস্থায় গত ১৬ অক্টোবর আমার জামাই রবিউল ইসলাম আমার মেয়েকে নিয়ে চার্জার ভ্যানযোগে আমার বাড়ী থেকে নিজ বাড়ীতে গেলে মোস্তফার ছেলে রুহুল (৪০), মৃত আবুল হোসেনের ছেলে শাকিম (৩৬), রুহুলের ছেলে রনি (২০), মোস্তফার ছেলে নূরুল (৪৫), নূরুলের স্ত্রী তাহসিনা (৩৬), রুহুলের স্ত্রী আইরিন (৩৫), মৃত- আবুল হোসেনের ছেলে রুহুল (৫০), মৃত- আমজাদ হোসেনের ছেলে মোস্তফা (৬২), মোস্তফার স্ত্রী বেলেনুর (৫৮) দলবদ্ধ হয়ে আমার মেয়েকে এলোপাথাড়ীভাবে মারপিট শুরু করে।
এতে আমার মেয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। আমার জামাই রবিউল ইসলাম স্ত্রীকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও মেরে আহত করে। আমার মেয়ে নিয়ামতপুর হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় ভর্তি রয়েছে। বিবাদীরা এখনও আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। আজ হোক কাল হোক আমাকে ও আমার মেয়েকে মেরেই ফেলবে।
এবিষয়ে নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাইদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। রা/অ