রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:২৫ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র সাইদুর রহমান দায়িত্ব গ্রহণের ৩ বছর হতে চলেছে। এই সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে গ্রামকে শহরে পরিণত প্রচেস্টায় কাজ করে চলেছেন মেয়র সাইদুর রহমান। তারই ফলশ্রুতিতে ভোটের আগে মুন্ডুমালা পৌরসভা বদলে দেবার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা বাস্তবায়ন দেখতে শুরু করেছেন পৌরবাসী।
পৌরবাসী সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে পরিকল্পিত দৃশ্যমান উন্নয়ন এখন চোঁখে পড়ার মতো। এখানে এগিয়ে চলেছে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা। পৌর মেয়র সাইদুর রহমান নির্বাচিত হবার পর ২৭টি উন্নয়ন কাজ ইতোমেধ্য শেষ হয়েছে। এগুলোর মধ্যে কার্পেটিং ও আরসিসি রাস্তা এবং ড্রেন নির্মাণ রয়েছে।
এছাড়াও পৌর বাজারের বঙ্গবন্ধু চত্বর হতে ৫টি ওয়ার্ড ঘিরে করা হচ্ছে মহাপরিকল্পনা। ইতিমধ্যে এ পরিকল্পনার নকশার কাজ শুরু হয়েছে। পৌর বাজার হতে টি সংযোগ সড়কের পাশ দিয়ে যাবে আধুনিক ড্রেন ও কার্পেটিং রাস্তা। বাজারে গড়ে উঠবে ৩ তলা মার্কেট। এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে আরো বেশি সুফল পাবে পৌরবাসী। পৌর বাজারে ৩ রাস্তার মোড়ে দৃশ্যমান এখন বঙ্গবন্ধু চত্বর ও ম্যুরাল। এতে যানবহন চলাচলে যেমন সুবিধা হয়েছে। তেমনি পৌর মেয়রের দৃশ্যমান উন্নয়নে সবার নজর কাড়ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সাল নাগাদ মুন্ডুমালা পৌরসভা স্থাপিত হয়। বর্তমান পৌর মেয়র দায়িত্ব গ্রহণের যে পরিমান উন্নয়ন করেছেন গত ২০ বছরেও তা কেউ করতে পারেনি। এজন্য স্থানীয় সুশিল সমাজের প্রতিনিধি তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন।
মুন্ডুমালা পৌরসভার প্রকৌশলী ও প্রশাসন বিভাগ সূত্রমতে, ২০২১ সালের ৩ মার্চ মেয়র হিসাবে দায়িত্ব গ্রহন করেন সাইদুর রহমান। এরপরে পৌর ভবনের সংস্কারে করেছেন আধুনিকায়ন। গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প পর্যায়ে-২ পৌর এলাকার ১০ কিলোমিটারের বেশি রাস্তা কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে কার্পেটিং ও ঢালায়ের কাজ সম্পন্ন করেছেন মেয়র।
এছাড়া প্রকাশ নগর ও টকটকিয়া বাগমারাপাড়া জগদিসপুর তালুকপাড়া এবং সাতপুকুর চুনিয়াপাড়া পাঁচন্দর ময়েনপুর গ্রামে আরসিসি রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে ৯টি ওয়ার্ডে ড্রেন উন্নয়নের কাজ।
আগে পৌর এলাকায় মিঠাপানি সমস্যা প্রকোট ছিল। সাইদুর রহমান মেয়র নির্বাচিত হবার পর সে পানির সমস্যার দূর করতে ইতিমধ্যে পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রায় ২৫০টির মতো সার্বমার্সেবল পাম্প এবং চুনিয়াপাড়ায় একটি বড় ডিপ বসিয়ে ২৩ হাজার ধারণ ক্ষমতা সম্পূর্ণ একটি বড় ট্যাংকি স্থাপন করা হয়েছে। যা দিয়ে ওই মহল্লার প্রায় ৫ হাজার মানুষের পানি সমস্যা দূর করা হয়েছে। এসব উন্নয়নে পৌরসভার ১০টি মহল্লা এখন আধুনিক যোগাযোগের সুফল ভোগ করছেন।
রাস্তাগুলো হচ্ছে বাগমারা পাড়া থেকে পাঁচন্দর আওয়ালের মোড় ১ কিলোমিটার। ঝলঝলিয়া থেকে গৌরাঙ্গপুরে দেড় কিলোমিটার। আইড়্যা মোড় থেকে করিমপুর ৭৫০ মিটার। তালুকপাড়া হতে যৌগদিশপুর ১ কিলোমিটার। মুণ্ডুমালা বাজার থেকে উত্তরপাড়াও ১ কিলোমিটার।
এছাড়াও এলাকার বেশ কয়েকটি মসজিদ, মন্দির ও গোরস্থানসহ অবকাঠামো উন্্নয়নে কাজ শেষ হয়েছে। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে রাস্তা-ঘাট আলোকায়ন করা হয়েছে। নাগরিক সুবিধার জন্য প্রায় দুই হাজার রোড লাইট রয়েছে। অল্প সময়ে দ্বিতীয় শ্রেণির পৌরসভাটিকে প্রথম শ্রেণিতে নিয়ে যেতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তিনি।
নির্বাচিত হয়ে মেয়রপদে বসার পর থেকেই পৌর পরিষদ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেশ দক্ষতায় সহিত পরিচালনা করে আসছেন মেয়র সাইদুর রহমান। নিয়মিত অফিস করে শতভাগ নাগরিক সেবার মান বৃদ্ধি করেছেন তিনি। পৌর পরিষদ নিয়ে নিয়মিত করেছেন মাসিক সভা। নগর উন্নয়ন নিয়ে এলাকার সুধিজনের সাথে ত্রি-মাসিক সভা করেছেন একাধিকবার। মন দিয়ে শুনছেন সাধারণ নাগরিকের নানান অসুবিধার কথা। সে অনুযায়ী সাধ্যের মধ্যে থেকে কাজ করে যাওয়ার চেষ্টাও করছেন। এতে পৌর নাগরিকদের কাছে দিনে দিনে আরও বেশি জনপ্রিয় হয়েও উঠছেন মেয়র সাইদুর রহমান।
মেয়রের এমন সফলতা শুধু পৌর এলাকায় নয়। উপজেলা, জেলা পর্যায়েও জেলা প্রশাসনে আইন, শৃংখলা ও সমন্বয় কমিটির মাসিক সভাতেও দক্ষ মেয়র হিসাবে পরিচিতি ও প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।
সাইদুর রহমান শুধু মেয়র নয়। পাশাপাশি পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন দীর্ঘ ১২ বছর ধরে। এতে পৌর আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী ও গতিশীল করতে বেশ ভূমিকা রয়েছে তার। নেতাকর্মীদের সুখে দুখে পাশে থেকেছেন। সকল জাতীয় দিবস উদযাপন করেছেন সবাইকে নিয়ে। উৎসবে নেতাকর্মীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজে উপহার দিয়েছেন তিনি। এতে গতি পেয়েছে দলের মধ্যেও।
এব্যাপারে মেয়র সাইদুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ দ্বিতীয় শ্রেণির পৌরসভা রয়ে গেছে। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম কাজ ছিল নাগরিক সেবারমান বৃদ্ধিসহ প্রথম শ্রেণির পৌরসভার গড়ার। প্রথম শ্রেণি করতে অনেক শর্ত ছিল। সেগুলো মধ্যে পৌরকর বৃদ্ধি। আমি পৌর নাগরিকদের সঙ্গে নিয়ে তাদের মতামতের ভিত্তিতে পৌরসভার উন্নয়নের জন্য তা বৃদ্ধি করেছি। এতে সফল হয়েছি। অল্প কিছুদিনের মধ্যে হয়তো আমরা প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হিসেবে গেজেট পাব। আশা রাখছি আগামী কয়েক বছরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে গ্রামকে শহরে রূপান্তর করতে পারবো ইনশাল্লাহ।
মেয়র সাইদুর রহমান আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু আদর্শ নিয়ে দল করি আমি। মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে গ্রামকে শহর রূপান্তর করতে কাজ করছেন। আমিও তার একটি অংশীদার হিসেবে এখানে কাজ করছি। রা/অ