বৃহস্পতিবর, ১২ িসেম্র ২০২৪, সময় : ০২:১৮ am
আজকের তানোর ডেস্ক : মরদেহটা পড়েছিল রাস্তার পাশে। প্রথমে মনে হয়েছিল দুর্ঘটনা। পরে তদন্তে জানা গেল গুলি করে হত্যা। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার জুনিয়র মৃধা খুনের সেই ঘটনার নয় বছর পর সোমবার (৪ জানুয়ারি) গ্রেফতার করা হলো তারই বান্ধবী প্রিয়াঙ্কা চৌধুরীকে। এরপরই সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছেন প্রিয়াঙ্কা।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, ২০০৮ সালে ফেসবুকে জুনিয়রের সঙ্গে পরিচয় হয় প্রিয়াঙ্কা চৌধুরীর। মডেল বলে নিজের পরিচয় দেন প্রিয়াঙ্কা। তবে, টলিউডের সিনেমা বা সিরিয়াল কোনো ক্ষেত্রেই প্রিয়াঙ্কার কোনো পরিচয় নেই। কিন্তু অনেক টলি পরিচালক বা প্রযোজকের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
ফেসবুকে পরিচয় গভীর হওয়ার পরই জুনিয়রের বাড়িতে যাতায়াত শুরু করেন প্রিয়াঙ্কা। অংশ নিতে থাকেন জুনিয়রের পারিবারিক অনুষ্ঠানেও। পুলিশের দাবি, জুনিয়রের সঙ্গে সম্পর্ক থাকাকালীন সময়েই আরও একাধিক সম্পর্কে জড়ান প্রিয়াঙ্কা। প্রিয়াঙ্কা তখন মোহনবাগান ক্লাবের প্রাক্তন এক কর্মকর্তা অর্থাৎ শিল্পপতির পূত্রবধূ। কিন্তু জুনিয়র বা তার পরিবারের কাছে নিজের বিবাহিত পরিচয় পুরোপুরি গোপন করেন তিনি।
প্রিয়াঙ্কা এবং জুনিয়রের সম্পর্ককে বিয়েতে পরিণত করে দিতে আপত্তি ছিল না জুনিয়রের পরিবারের। দুজনের বিয়ের পরিকল্পনাও প্রায় শেষ করে ফেলেছিলেন জুনিয়রের অভিভাবকরা। কিন্তু মোবাইলের কল রেকর্ড দেখে এবং প্রিয়াঙ্কার বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ২০১০ থেকে ২০১২ সাল টলিপাড়ার বেশ কয়েক জনের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। জুনিয়রের সঙ্গে সম্পর্ক থাকাকালীন এবং তার খুনের পরও সে সম্পর্ক ছিল। জুনিয়রের পরিবারের দাবি, বিয়ের পরিকল্পনার সময়ই টলিউডের এক উঠতি প্রযোজকের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল প্রিয়াঙ্কার। কিন্তু বিষয়টি পুরোপুরি গোপন রেখেই জুনিয়রের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ করতেন। তবে পরে বিষয়টি জানাজানি হয়। সূত্র : এফএনএস