শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:৫২ am
মোস্তফা কামাল (নিজস্ব প্রতিবেদক) মোহনপুর :
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট উচ্চবিদ্যালয় মার্কেটের একাধিক দোকানঘর ৩৫ লাখ ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে জামানত নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন নজরুল ইসলাম নিজাম নামের একজন ফার্নিচার ব্যবসায়ী। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদাসিনতার কারণে দোকানঘরে পানি ঢুকে কয়েক লাখ টাকার মালামাল বিনস্ট হয়েছে বলে দাবী করেন ওই ব্যবসায়ী।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ২০০০ সালের দিকে বিদ্যালয়ের মার্কেট ভাড়া নিয়ে ফার্নিচার মার্ট শুরু করেন মা ওয়েল্ডিং ওয়ার্কসপ এন্ড ফার্ণিচার মালিক নিজাম। এরপর ব্যবসায়িক পরিধির কারণে জায়গার প্রয়োজনে তিনি আরো একাধিক ঘর ভাড়া গ্রহণ করেন। যার চার দফায় জামানত হিসেবে প্রায় ৩৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা জামানত দেন। এছাড়াও তিনি প্রধান শিক্ষকের নির্দেশ অনুযায়ী আরো প্রায় ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার কাজ করে নেন ব্যবসায়ী নিজাম। তার চুক্তি অনুসারে ব্যবসায়িক দোকান ঘরগুলো নির্মাণসহ সংষ্কার করে দেয়ার কথা থাকলেও তা করে দেয়া হয়নি। অধিকাংশ দোকান ঘরের ভেতর বৃস্টির পানি পড়ে এবং জলাবদ্ধতার পানি ঢুকে যায়।
দীর্ঘদিন ধরে এসব বিষয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানালেও তা সংষ্কার করে দেয়া হয় না। অবশেষে ব্যবসায়ী দোকানঘরগুলো ভাড়া ছেড়ে দেয়ার জন্য প্রধান শিক্ষক বরাবর একাধিকবার লিখিত আবেদন করেন। প্রধান শিক্ষক তার রিসিভও করেন অথচ দুই বছর চলে গেলেও জামানত ফেরত দেননি এবং ঘরগুলো সংষ্কার করেও দেননি। চলতি সপ্তাহের ভারী বর্ষণে তার কয়েকটি দোকানে পানি ঢুকে গিয়ে প্রায় লাখ লাখ টাকার মালামাল পঁচে নস্ট হয়ে গেছে বলে দাবী করেন তিনি।
প্রসঙ্গ, মার্কেটের একই ঘর নিজামের কাছে চুক্তিনামায় ভাড়া দিয়ে ওই পুনরাই অন্যের নিকট ভাড়া দেয়ার কারণে ২০২৩ সালে কেশরহাট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী নিজাম। এছাড়াও তিনি চুক্তিপত্র অনুযায়ী ঘরভাড়া বাবদ জামানত ফেরতসহ দোকানঘর ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে সুরাহা চেয়ে আদালতে আরো একটি মামলা দায়ের করেন বলে জানান ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম নিজাম।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কেশরহাট উ””বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, নিজাম ভাড়াঘর ছাড়তে চেয়ে ছাড়েনি। বরং দোকানে থাকার জন্য তিনি প্রশাসনিক সহয়তা নিয়েছেন। নজরুল ইসলাম নিজাম যেকোনো সময় ঘর ছাড়তে চাইলেই জামানত ফেরত দেয়া হবে। এসব কিছু অপ্রচার মাত্র বলে জানান প্রধান শিক্ষক।
এব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি রুস্তম আলী প্রামাণিক বলেন, প্রধান শিক্ষক নিজামের কাছে ডিড করে মোটা অঙ্কের জামানত নেন। এরকম কাগজপত্র পাওয়া গেলেও বিদ্যালয়ের নামীয় একাউন্টে জমা বা আয়ব্যয়ের তথ্য নেই। বিগত সভাপতিদের দায়িত্বকালিন সময়ে প্রধান শিক্ষক ডিড দিয়ে টাকা নিয়েছেন। তিনি তার দায়িত্বে তা পরিশোধ করবেন।
তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ী নিজাম পুরাতন ব্যবসায়ী। তার ঘরগুলোতে পানি ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তিনি। মানবিকভাবে বিষয়টি প্রধান শিক্ষক দেখবেন বলে আশাবাদী তিনি। রা/অ