রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:৫৯ pm
ক্রীড়া ডেস্ক :
বৃহস্পতিবার শুরু হবে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। তার আগে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরে অংশ নেওয়া ১০টি দল দুটি করে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে।
সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমরা।
শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করেন তানজিদ হাসান তামিম (৮৪), লিটন কুমার দাস (৬১), মেহেদি হাসান মিরাজ (৬৭*) ও মুশফিকুর রহিমররা (৩৫*)। তাদের ব্যাটিং শৈলীতে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে ২৫৪ রানের টার্গেট তাড়ায় বাংলাদেশ ৪৮ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের দাপুটে জয় পায়।
আজ সোমবার গুয়াহাটির বারসাপাড়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয় টাইগাররা।
এদিনও দারুণ ব্যাটিং করেন মেহেদি হাসান মিরাজ এবং তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। তানজিদ তামিম ৪৪ বলে ৭টি চার আর এক ছক্কায় করেন ৪৫ রান।
৮৯ বলে ১০টি বাউন্ডারির সাহায্যে দলীয় সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেন মিরাজ। বাকি ব্যাটসম্যান ব্যাটিংয়ে আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নেন। তাদের ব্যর্থতার কারণে ৩৭ ওভারে ৯ উইকেটে ১৮৮ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ।
এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৬ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৫ ও ২ রান করে ফেরেন ওপেনার লিটন দাস এবং তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
এরপর মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে ৫২ রানের জুটি গড়ে ফেরেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। সাজঘরে ফেরার আগে ৪৪ বলে ৭টি চার আর এক ছক্কায় তানজিদ তামিম করেন ৪৫ রান।
এর আগে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৮৮ বলে ১০টি চার আর ২টি ছক্কার সাহায্যে ৮৪ রান করেন তরুণ তামিম।
তামিম আউট হওয়ার পর পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তিনি ১৫ বলে মাত্র ৮ রানে ফেরেন। তার বিদায়ে ২০.৪ ওভারে ১০৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ২১ বলে ১৮ রান করে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে রিয়াদ ব্যাটিংয়ে নামার আগেই দলের জয় নিশ্চিত হয়। সেই ম্যাচে ব্যাটিং প্র্যাকটিসের সুযোগ পাননি। আজ সুযোগ পেয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি।
৩০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১৫৩ রান। এরপর শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে তিন ঘণ্টা পর খেলা শুরু হয়। তাতে ওভার কমে যায় ১৩ ওভার। ম্যাচ নির্ধারণ হয় ৩৭ ওভারে।
বৃষ্টির পর খেলতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে টাইগাররা। বৃষ্টির পর বাংলাদেশ ৭ ওভারে ৩৫ রান তুলতে হারায় ৩ উইকেট। সূত্র : যুগান্তর