শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:০৮ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, মোহানপুর :
রাজশাহী মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট উচ্চবিদ্যালয় নামীয় চেকের টাকা তুলতে গিয়ে জনতার হাতে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত হয়েছেন প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম। এনিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে। ১ অক্টোবর দুপুরে অগ্রণী ব্যাংক রায়ঘাটী শাখায় এ ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১ অক্টোবর দুপুরের দিকে কেশরহাট উচ্চবিদ্যালয় নামীয় একটি চেকে ৫ লাখ ৯৩ হাজার টাকা উত্তোলনে জন্য অগ্রণী ব্যাংকের অনুকূলে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক স্বাক্ষরিত একটি চেক দাখিল করেন প্রধান শিক্ষকের আপন স্যালক হাসানের ব্যবসায়ের কর্মচারী দেবাশিশ। প্রতিষ্ঠান নামীয় ওই চেকটির লেখার মধ্যে ভিন্নতা পেয়ে নিশ্চিত হতে ব্যাংক ব্যবস্থাপক বিদ্যালয়ের সভাপতি রুস্তম আলী প্রামাণিককে ফোন দেন। এসময় রুস্তম আলী ওই চেকের টাকা না দেয়ার অনুরোধ করে দ্রুƒত ব্যাংকে ছুটে যান।
সেখানে গিয়ে চেকটির মুড়িতে লেখা শুধু ৯৩ হাজার টাকা এবং মুল চেকে ৫ লাখ ৯৩ হাজার টাকা লেখা ছিল। এধরণের জালিয়াতির কারণ জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক সদূত্তোর দিতে না পারলে স্থানীয়রা তাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করে। খবর পেয়ে মোহনপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত রাখে। অগ্রণী ব্যাংক রায়ঘাটী শাখা ব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান বলেন, চেকটি ব্যাংকে সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ার পর চেকের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, এই চেকের বিষয়ে সম্পূর্ণ জেনে সভাপতি স্বাক্ষর করেন। আমি থাকাবস্থায় সভাপতি লোকজনকে নিয়ে ব্যাংকে ঢুকে আমাকে লাঞ্চিত করেছেন। আমি মর্মাহত।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাবেক প্যানেল মেয়র রুস্তম আলী প্রামাণিক বলেন, প্রধান শিক্ষক যেহেতেু দুর্নীতিগ্রস্ত এজন্য ব্যাংক ম্যানেজারকে আগে থেকেই বিদ্যালয়ের যেকোনো চেক পেলে আমাকে জানানোর জন্য অবগত করে রেখেছিলাম। আমি ৯৩ হাজার টাকার চেকে একাধিক লোকের সামনে স্বাক্ষর করেছি। প্রধান শিক্ষক সেই চেকে ৯৩ হাজার টাকার আগে কৌশলে ৫ লাখ যুক্ত করে ৫ লাখ ৯৩ হাজার টাকা করেন। চেকটির টাকা তুলতে পাঠান প্রধান শিক্ষকের আপন স্যালক হাসানের দোকোনের কর্মচারী দেবাশিশকে। চেকে পাঁচ লাখ লেখাটি ভিন্নরকম ছিল।
এজন্য ব্যাংক ম্যানেজারের সন্দেহ হলে তিনি আমাকে ফোন দেন। ম্যানেজারকে টাকা দিতে নিষেধ করে দ্রƒত ব্যাংকে যায়। প্রধান শিক্ষককে জালিয়াতি কেন করেছেন জানতে চাইলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেন নি। এসময় ব্যাংক ম্যানেজারকে ব্যবস্থা নিতে বলে আমি চলে আসি। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তিনি অনিয়মের কথা স্বিকার করে মুক্তি পান। তবে প্রধান শিক্ষককে আমি শারিরিক ভাবে লাঞ্চিত করিনি বলে দাবী করেন বিদ্যালয়ের সভাপতি রুস্তম আলী প্রামাণিক। রা/অ