শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:৩০ am
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় এক ফল বিক্রেতাকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। কুপিয়ে জখম করা হয়েছে শরীরের বিভিন্ন স্থানে। এ নিয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার চাইলেও থানায় কোন মামলা হয়নি। পুলিশ শুধুমাত্র একটি অভিযোগ নিয়ে রেখেছে। তবে সেটি মামলা হিসেবে থানায় ৬ দিনেও রেকর্ড করেন নি ওসি।
আহত এই ফল বিক্রেতার নাম মানিক আলী (২০)। বাঘার আড়ানী পৌরসভার নূরনগর মহল্লায় তার বাড়ি। তার বাবার নাম নাজিম উদ্দিন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিকালে আড়ানী বাজারে তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে মানিককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তিন দিন হাসপাতালে থাকার পর মানিককে বাড়ি নেওয়া হয়েছে।
এদিকে ঘটনার রাতেই মানিকের মা রোজিনা বেগম থানায় মামলা করতে যান। তবে পুলিশ মামলা রেকর্ড করেনি। শুধুমাত্র একটি অভিযোগ গ্রহণ করা হয়। অভিযোগে আড়ানীর ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান (৫৫) ও তাঁর জামাতা মো. রিয়ন (২৩), রিয়নের ভাই শরীফসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়। অভিযোগে বজলুরের নাম দেওয়ার কারণে থানায় মামলা রেকর্ড করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ আহত মানিকের স্বজনদের।
মানিকের চাচা সুজা আলী বলেন, মানিক পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা আশিকের সঙ্গে চলাফেরা করতেন। আর আশিকের সঙ্গে বজলুর ও শরীফের দ্বন্দ্ব রয়েছে। মানিক ভালমন্দ কোন বিষয়ের মধ্যে না থাকলেও শুধু আশিকের সঙ্গে চলাফেরার কারণে তাকে প্রকাশ্যেই পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। এতে মাথা ও পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। এভাবে মারতে দেখে বাজারের স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গেলে মানিক প্রাণে রক্ষা পায়।
সুজা বলেন, ‘বজলুর রহমান ও তার জামাতা রিয়ন, রিয়নের ভাই শরীফসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। তাদের নাম থাকার কারণেই মামলাটা রেকর্ড করা হচ্ছে না। হয়তো রাজনৈতিক কোন চাপ আছে। এখন এই ঘটনার আদৌ কোন বিচার আমরা পাব কি না তা নিয়ে সংশয়ে আছি।’
মানিককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করার বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা বজলুর রহমান বলেন, ‘আমার সঙ্গে তো কোন দ্বন্দ্ব নাই। একটা বিরোধ আছে আমার জামাতার ভাই শরীফের সঙ্গে। সেজন্য একটা ঘটনা ঘটেছে। তবে আমি সেদিন বাজারেই ছিলাম না। মিথ্যা অভিযোগ করে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।’
মামলা রেকর্ড না করার কারণ জানতে চাইলে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম বলেন, মামলা কেন রেকর্ড হয়নি সেই জবাব তিনি গণমাধ্যমকে দেবেন না। শুধু ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছেই তিনি জবাবদীহি করবেন। ওসি বলেন, ‘লিখিত একটা অভিযোগ হয়েছে। সেটার তদন্ত চলছে। আমি তিন দিন ধরে ছুটিতে আছি। থানায় গিয়ে ব্যাপারটা দেখব।’ রা/অ