বুধবা, ১১ িসেম্র ২০২৪, সময় : ০৫:৩৭ am
ডেস্ক রির্পোট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বাংলাদেশে সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক শেষ হয়েছে। শনিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে দুই দেশের সরকারপ্রধানের মধ্যে বৈঠকটি শুরু হয়। শেষ হয় সন্ধ্যা ছয়টার কিছু পর। এরপর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। সেখানে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
বৈঠকে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পৌঁছালে কার্যালয়ের টাইগার গেটে নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের সরকারপ্রধান।
প্রথমে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী একান্ত বৈঠকে বসেন। এরপর দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন। দুই দেশের সরকারপ্রধানের উপস্থিতিতে বাণিজ্যে অশুল্ক বাধা দূর, তথ্য-যোগাযোগ সহায়তা ও দুর্যোগ মোকাবিলাসহ পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
সমঝোতা স্মারক সই ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভার্চুয়ালি বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে। ঢাকা ও নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন সার্ভিস উদ্বোধন করা হবে এই সফরে। উদ্বোধন হবে বাংলাদেশ-ভারত স্বাধীনতা সড়ক। মুক্তিযুদ্ধে যেসব ভারতীয় সৈন্য আত্মাহুতি দিয়েছেন তাদের স্মরণে আশুগঞ্জে একটি সমাধিসৌধ উদ্বোধন করা হবে। এ ছাড়াও কুষ্টিয়ার শিলাইদহে কুটিবাড়িতে ভারতের অর্থায়নে যে সংস্কার কাজ হয়েছে তারও উদ্বোধন করা হবে। বাংলাদেশের কাছে ভারতের ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর হবে। এছাড়া দুটি সীমান্ত হাট এবং স্মারক ডাকটিকিটের মোড়ক উন্মোচন হবে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজনে যোগ দিতে শুক্রবার মোদি ঢাকায় আসেন। রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে শনিবার তিনি যান সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জে।
জেলা দুটির দুটি মন্দিরে প্রার্থনা ও স্থানীয়দের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ছাড়াও টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান ভারতীয় সরকার প্রধান। এরপর তিনি ফেরেন ঢাকায়। রাতেই দেশে ফেরার কথা রয়েছে ভারতের সরকারপ্রধানের। সূত্র : অনলাইন। আজকের তানোর