সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:১৮ am
ডেস্ক রির্পোট :
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রথম স্ত্রীর পরিচয় গোপন রেখে দ্বিতীয় বিয়ে। দ্বিতীয় স্ত্রী বিষয়টি জানতে পেরে তাদের শিশু সন্তানকে নিয়ে ইউএনওর বাসায় গেলে প্রবেশ করতে না দিলে সন্তানকে নিয়ে পরিষদের সামনে সড়কে বসে প্রতিবাদ জানান। এ ঘটনায় ইউএনওকে ওএসডি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে তাকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী জিনাত আরা খাতুন দিনাজপুরের কলেজিয়েট গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব কানিজ ফাতেমা স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলামকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সিনিয়র সহকারী সচিব) পদে নিয়োগ করা হলো। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
জানা গেছে, বুধবার বিকালে স্ত্রীর অধিকার পেতে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলামের কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন জিনাত আরা খাতুন। ওই দিন বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জিনাত আরা খাতুন সন্তান নিয়ে ইউএনওর কার্যালয়ে যান। এ সময় তার পরিবারের লোকজন সঙ্গে ছিলেন। সেখানে হৈচৈ শুরু হয়। একপর্যায়ে ইউএনও জিনাতের মোবাইল কেড়ে নিয়ে আনসার সদস্যদের দিয়ে হেনস্তা করে বাইরে বের করে দেন।
তখন জিনাত ইউএনওর কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের সড়কে বাস থামিয়ে অনশন শুরু করেন। এ সময় কিছুক্ষণ ধীর গতিতে যান চলাচল করে। এ নিয়ে বেশ উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। ঘটনার পর ইউএনওর স্ত্রীকে নিয়ে উপজেলা পরিষদে গিয়ে কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বসে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করেন এবং সুবিচার করার প্রতিশ্রুতি দেন।
জিনাত আরা খাতুনের দাবি, ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেস্টহাউসে তাদের বিয়ে হয়। তাদের একটি ছেলে সন্তান হয়। আরেকটি সন্তান গর্ভেই নষ্ট করতে বাধ্য করেন ইউএনও মো. আরিফুল ইসলাম। চলতি মাসের ২৪ সেপ্টেম্বর ইউএনও একতরফা তালাক দেন, এটি তিনি জানতেন না। সব মাধ্যম থেকে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ায় তিনি স্ত্রীর মর্যাদা পেতে সন্তানকে নিয়ে ইউএনও কার্যালয়ে এসে অবস্থান নেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারীর অনুষ্ঠানে হামলা, আহত ১০
এর আগে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও আরিফুল ইসলাম বলেছিলেন, সে (জিনাত আরা খাতুন) ব্ল্যাকমেইল করে আমাকে বিয়ে করতে বাধ্য করেছিল। এখন আমাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে। সে সিনক্রিয়েট করার জন্য এখানে এসেছিল। এটা ব্যক্তিগত বিষয় ছিল। আমি আইনগতভাবে সমাধান করেছি। সূত্র : যুগান্তর