রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:২৩ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
রাজশাহীর তানোরে পূর্ব শক্রতার জের ধরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারপিট হয়। উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের পারিশো দূর্গাপুর বাজারে চলতি মাসের ১৬ তারিখে ঘটে ঘটনাটি। মারপিটে আশরাফুল ও তার ছেলে রাসেল এবং প্রতিপক্ষ রিগান আহত হন। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশরাফুল ও তার ছেলে রাসেল কে আটক করেন পুলিশ।
এঘটনায় আশরাফুলের স্ত্রী রুপালি বেগম বাদি হয়ে রিগান মন্ডলকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ১৮ সেপ্টেম্বর থানায় মামলা দায়ের করেন। অপর দিকে ১৭ সেপ্টেম্বর রেজাউল ইসলাম বাদি হয়ে রাশেল মন্ডল ও তার পিতা আশরাফুল কে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। অবশ্য আশরাফুল জামিন পেলেও তার ছেলে রাশেক কারাগারে আছেন।
এঘটনায় উভয়ের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানা গেছে, উপজেলার পারিশো দূর্গাপুর বাজারে নাইট গার্ড কে কেন্দ্র করে রিগানের দোকানে তালা মারা হয়। এঘটনায় আশরাফুল রিগানকে গালমন্দ করেন। এঘটনায় সমাধানের জন্য স্থানীয়রা বসতে চাইলে আশরাফুল উপস্থিত হন না। এটাকে কেন্দ্র করে ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলের দিকে বাজারের মতিনের কীটনাশক দোকান সংলগ্ন জায়গায় রিগান আশরাফুলের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন ও বেধড়ক পেটায়। সংবাদ পেয়ে ছেলে রাসেল উদ্ধার করতে আসলে তাকেও পেটায় এবং রাসেল রিগানকে চাকু দিয়ে আঘাত করলে কোমরের নিচে ক্ষত হয়। আবার রিগান রাশেলের নাক ফাটিয়ে দেন।মারপিটের সংবাদ পেয়ে রিগানের লোকজন আশরাফুল ও তার ছেলেকে এলোপাথাড়ি ভাবে পিটিয়ে জখম করেন। পরে স্থানীয়রা উভয়কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
সেখান থেকে রিগানকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। অপর দিকে আশরাফুল ও রাশেল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটক করে পরদিন আদালতে সোপর্দ করা হয়। অবশ্য আশরাফুল জামিন পেলেও ছেলে রাশেল কারাগারে আছেন। এদিকে প্রধান আসামি রিগানসহ সবাই পলাতক রয়েছেন।
মামলার বাদি আশরাফুলের স্ত্রী রুপালি বেগম বলেন, আমার স্বামী কে একাই পেয়ে রিগানসহ দল নিয়ে লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে পেটাতে থাকেন। সংবাদ পেয়ে ছেলে রাসেল উদ্ধার করতে গেলে তাকে চাকু মারেন রিগান। ভাগ্যক্রমে চাকুর আঘাতটি নাকে লেগে ক্ষত হয় এবং বেশ কয়েকটি সেলাই লাগে। ওই অবস্থায় মেডিকেলেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটক করে পুলিশ। অথচ রিগানের কাছে থাকা চাকুর আঘাতে তার ক্ষত হয়। তাকে এহাসপাতালে রাখতে চাইলে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমার ছেলের চেয়ে কম ক্ষত। অসুস্থ অবস্থায় কারাগারে রয়েছেন আমি মা হয়ে কিভাবে সহ্য করা যায়।
আশরাফুল বলেন, রিগান দীর্ঘ দিন ধরে আমাকে ও ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছিলেন বিভিন্ন ভাবে। আমাকে মেরে ফেলার জন্য রিগান দল-বল নিয়ে হামলা করে শরীরের এমন কোন জায়গা নেই যে সেখানে আঘাত করেনি। আমার ছেলে রিগানকে চাকু মারেন নি। নিজের কাছে থাকা চাকুর দ্বারা আঘাত পেয়েছে। আরেক মামলার বাদি রেজাউল বলেন, আমার ভাতিজাকে মেরে ফেলার জন্য রাশেল চাকু মেরেছে। ওসি আব্দুর রহিম বলেন, আসামীদের গ্রেফতারে জোর অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। রা/অ