রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:০৯ pm
বকুল হোসেন, তানোর :
রাজশাহীর তানোরে কুখ্যাত ভূমিদস্যু কিশোর গ্যাং লিডার বখাটে মাহাফুজ মোল্লার দৌরাত্ম্যে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন এলাকায় বিবাদমান সম্পত্তি কমদামে কিনে লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে জবরদখল করায় তার প্রধান কাজ। এসব নিয়ে থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগও হয়েছে।
অন্যদিকে তাকে টাকা ধার দিয়ে বিপাকে পড়েছেন এক মোটরসাইকেল মেকার। এ ঘটনায় ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার পাওনা টাকা ফেরত পেতে ভুক্তভোগী তোফাজ্জুল হোসেন বাদি হয়ে মাহাফুজ মোল্লাকে বিবাদী করে তানোর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এদিকে এখবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের লালপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত আশরাব আলীর পুত্র তোফাজ্জুল হোসেনের তানোর পৌরসভার ধানতৈড় মহল্লার বাসিন্দা জালাল উদ্দিনের পুত্র মাহাফুজ মোল্লার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে। এদিকে সেই বন্ধুত্বের সুত্রে তোফাজ্জুল হোসেনের কাছে থেকে ৭৫ হাজার টাকা ধার নেয় মাহাফুজ মোল্লা। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলে টাকা ফেরত না দিয়ে মাহাফুজ মোল্লা নানা তালবাহানা করছে। এমনকি টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো তোফাজ্জুলকে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে মাহাফুজ। এছাড়াও মাহাফুজ সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তোফাজ্জুলকে জড়িয়ে তার বিরুদ্ধে মানহানিকর মিথ্যা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত খবর প্রকাশ করিয়েছে।
ভুক্তভোগীর করা লিখিত অভিযোগ হুবহু তুলে ধরা হলো- উক্ত বিবাদীর সহিত আমার সু-সম্পর্ক থাকায় প্রায় ৩ মাস পূর্বে আমার নিকট হইতে চিকিৎসার জন্য পর্যায়ক্রমে ধার বাবদ ৭৫,০০০ টাকা গ্রহণ করেন। যাহা বিবাদীর নিজ হাতে লিখিত ডায়েরীতে উল্লেখ করা আছে। পরবর্তীতে আমি আমার পাওনাকৃত উক্ত ৭৫,০০০ টাকা চাইতে গেলে উক্ত বিবাদী আমাকে দিনের পর দিন মাসের পর ঘোরাইতে থাকে। এছাড়াও একর্যায়ে বিবাদী আমাকে উল্টো অন্যায় ভাবে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে।
প্রকাশ থাকে যে, উক্ত বিবাদী আমার পাওয়াকৃত টাকা না দেওয়ার উদ্দেশ্য গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে আমার নামে মিথ্যাভাবে নিউজ করিয়াছে। আরো প্রকাশ থাকে যে, উক্ত বিবাদী আমাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হুমকি প্রদর্শন করিয়া বলে যে, উক্ত টাকা আমি তোমাকে ফেরত দিতে পারিবো না, যদি তোমার কোন কিছু করার থাকে কিতে পারো। যদি তুমি আমার নিকট হইতে উক্ত ৭৫,০০০ টাকা চাও কিংবা টাকা কিংবা চাইতে আসো প্রয়োজনে প্রাণে মারিয়া ফেলিবো। বর্তমানে বিবাদী আমাকে যেভাবে শ্বাসন ও গর্জন করিয়া আসিতেছে। ইহার প্রেক্ষিতে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি। উপরোক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এখন যদি আমি বিবাদীর নিকট হইতে টাকা চাই। কিংবা প্রতিবাদ করি তাহা হইলে বিবাদীর সহিত যেকোন ধরনের বিশৃঙ্খলার সম্ভবনা রহিয়াছে তাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হইয়া আইনের আশ্রয় গ্রহণ করিলাম। গ্রামের গণ্য-মান্য ব্যক্তিবর্গের সহিত আলোচনা করিয়া সৎ পরামর্শে থানায় অভিযোগ করিতে কিছুটা বিলম্ব হইলো।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মাহাফুজ মোল্লা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাকে ফাঁসাতে তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করা হয়েছে।
এব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাহিম বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রা/অ