শনিবর, ২১ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:১৬ am

সংবাদ শিরোনাম ::
দুদকের তালিকায় ১০০ ব্যক্তির সম্পদের পাহাড় গড়েছেন যারা আ.লীগ ১৪ দলীয় জোটের নেতা ও মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে ৭৫০ মামলা ঢাবিতে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিখোঁজের সাতবছর পর ছেলেকে ফিরে পেলেন উচ্ছ্বসিত মা তানোরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত রাসিকের সাবেক কাউন্সিলর মনসুরের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন সেই রুবেল আরও ৭ দিনের রিমান্ডে সিলেবাস সংক্ষিতের দাবিতে রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ পবায় উপজেলা প্রশাসনে ও কাটাখালি পৌরসভায় ভোগান্তি চিত্র নায়িকা পরীমণি পালন করলেন ‘বিবাহ বিচ্ছেদ’ দিন এক দফা দাবিতে রাজশাহীতে নার্সদের মিছিল শেষে মানববন্ধন প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ববাসীর জন্য রহমত : দুধরচকী রাজশাহীতে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ডলার সংকটে বাংলাদেশকে সার দিচ্ছে না সরবরাহকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের নাগরিক সংবর্ধনা বাতিল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বিচারিক ক্ষমতা পেলো সেনাবাহিনী আন্দোলনের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করলেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ বাগমারায় অধ্যক্ষ ও সভাপতির অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি গুজব : আসিফ মাহমুদ একদিনের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা রাজশাহী আসছেন আজ
নগরীতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে-বিপক্ষে বিক্ষোভ, উত্তেজনা

নগরীতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে-বিপক্ষে বিক্ষোভ, উত্তেজনা

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী আদালতে মামলায় হাজিরা দিয়ে বের হয়ে এসে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীরা। রোববার দুপুরে রাজশাহী আদালত চত্বরে ‘বাঘা-চারঘাটের সংসদ সদস্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম কর্তৃক আর কত নির্যাতন সইব?’ ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করে তারা।

এ সময় তারা পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলীর নেতৃত্বে এ বিক্ষোভ করা হয়। তিনি আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়ে গত নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন।

এদিকে, আওয়ামী লীগের ওই নেতাকর্মীদের বিপরীত পাশে অবস্থান নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সমর্থকেরাও বিক্ষোভ মিছিল করেন। তবে তাদের হাতে কোনো ব্যানার ছিল না। তারা পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন।

দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে এ সময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য দেয়াল হয়ে ছিলেন। আক্কাছের নেতৃত্বে মামলার আসামি নেতাকর্মীরা একপাশ দিয়ে মিছিল করেন, অন্য পাশে শাহরিয়ার আলমের সমর্থকেরা মিছিল করেন। তবে শেষ পর্যন্ত তারা মুখোমুখি হননি।

আক্কাছের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন, ‘রাজপথ ছাড়ি নাই, শেখ হাসিনা ভয় নাই’। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য খায়রুজ্জামান লিটনের নাম ধরেও তার পক্ষে স্লোগান দেন তারা। আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে মিছিলটি আদালত চত্বরের পাশে রাখা বাসের দিকে চলে যায়। আর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সমর্থকদের মিছিল আদালত প্রাঙ্গণের ভেতরে থেকে যায়।

আদালত থেকে বের হয়ে আক্কাছ আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি বাঘার মেয়র ছিলাম। আবার নির্বাচিত হয়েছি। আমি জেলা আওয়ামী লীগেরও সদস্য। আমাদের অন্তত ১০০ পরিবারের নামে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাতটা মামলা দিয়েছেন। মামলাগুলো একেবারেই মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক মামলা। প্রতিমন্ত্রী তার লোকজনকে দিয়ে মামলা করিয়েছেন। আমরা আজকে সেই মামলায় হাজিরা দিলাম। প্রতি মাসে কমপক্ষে ছয়-সাতবার বাস ভাড়া করে আসি। মামলার আসামিরা সবাই ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের। এই মিথ্যা মামলাগুলো যেন প্রত্যাহার করা হয়।’

বাঘা-চারঘাটে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়েও কথা বলেন মেয়র আক্কাছ আলী। তিনি বলেন, ‘যে মানুষটি শত শত কর্মীসমর্থকের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেন, সেই লোককে যদি দলের মনোনয়ন দেওয়া হয়, তাহলে দলের লোকজন কীভাবে মেনে নেবেন? প্রধানমন্ত্রীকে আপনাদের মাধ্যমে জানাতে চাই, তিনিই আমাদের ভরসা। তাকে মনোনয়ন দিলে মনে হয় না তার পক্ষে লোকজন কথা বলবেন, সাপোর্ট করবেন, ভোট দেবেন।’

আসামি পক্ষের আইনজীবী জিয়াউর রহমান বলেন, বিভিন্ন ধারায় মোট সাতটি মামলা হয়েছে গত ২০২২ ও ২০২৩ সালে বাঘা ও চারঘাট থানায়। মামলায় আসামি মোট ১১৪ জন। সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এগুলো রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মামলা। তারা আশা করছেন, আদালত থেকে ন্যায়বিচার পাবেন।

এ বিষয়ে জনতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত বছর মার্চে আওয়ামী লীগের একটি সম্মেলনে হামলার কারণে আক্কাছকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। সেই সময় দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান ও দলের রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন নিজের মুখে স্বীকার করেন। তখন তাঁরা সম্মেলনস্থল ভাঙচুর, বিঘ্ন সৃষ্টি ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তাকে সাময়িক বহিষ্কারের কথা বলেছিলেন। ওই সময় মারধরের কারণে একটি মামলা হয়েছে। এর বাইরে কোনো মামলার বিষয়ে ওয়াকিবহাল না। তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করাটা দলীয় সিদ্ধান্ত। ভবিষ্যতে তাঁকে কী করা হবে, আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নেবে। এখানে আমার কোনো কথা নেই।’

দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অন্যান্য যাঁরা মনোনয়নপ্রত্যাশী আছেন, তারা একে অপরকে সহযোগিতা করছেন। আমাকে হেয় করার অপচেষ্টা করছেন তারা। এই কাজ তাঁরা ২০০৮ নির্বাচনের আগে করেছে, ২০১৪ সালে একজন প্রার্থী তার বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছেন। ২০১৮ সালে এই মানুষগুলো কোনো সহযোগিতা করেননি। তাই যতই নির্বাচন ঘনিয়ে আসবে, এই কর্মকাণ্ড তাঁরা করার চেষ্টা করবেন। এখানে বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই।’ রা/অ

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.