রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:৪৫ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
রাজশাহীর তানোরে আলোচিত সেই শিশুধর্ষণ সহায়তার দুই নম্বর আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকার উত্তরা থেকে র্যাব ও থানা পুলিশের বিশেষ যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করে ২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে থানায় হাজির করা হয়। গ্রেফতারকৃত ওই আসামীর নাম মোহাম্মাদ আলী (২০)।
সে তানোর উপজেলার কলমা ইউপির শালবাড়ী গ্রামের মো. আবুল কালামের পুত্র। কিন্তু ওই মামলার ১ নম্বর আসামী ধর্ষক মো. জনিকে (২২) এখন গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। জনি ওই গ্রামের মো. আলেক চানের পুত্র।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার বেলা ১১টার দিকে ১০ বছরের ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে ১৬ বছরের এক আদিবাসী কিশোরী খাড়ির পাড়ে উলুবন কাইশা কাটতে যায়। এসময় জনি ও মোহাম্মাদ আলী পাশের জমিতে কাজ করছিল। পরে দুপুর ১টার দিকে আদিবাসী ওই কিশোরীকে কাইশা কাটতে দেখে ছোট ভাইকে বেধে রেখে জনি জোরপূর্বক বোনকে ধর্ষণ করে। এতে সহায়তা করে মোহাম্মাদ আলী। এঘটনায় শনিবার দিবাগত রাতে ভিকটিমের পিতা বাদি হয়ে জনি ও মোহাম্মাদ আলীকে আসামি করে তানোর থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ভিকটিম আদিবাসী ছাত্রীকে উদ্ধার করে ১৭ সেপ্টেম্বর রোববার সকালে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠায়। এঘটনায় অভিযান চালিয়ে মামলার দুই নম্বর আসামী মোহাম্মাদ আলীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
এব্যাপারে তানোর থানার ওসি আব্দুর রহিম বলেন, ধর্ষণের শিকার আদিবাসী ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে মেডিক্যাল পরিক্ষা করা হয়। পরে পুলিশ ও র্যাবের বিশেষ অভিযানে ধর্ষণ সহায়তার আসামী মোহাম্মাদ আলীকে ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে, ধর্ষক জনিকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে জানান ওসি। রা/অ