শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:৫৩ pm

সংবাদ শিরোনাম ::
মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য কোথাও বসাতে না পেরে বিক্রি করলেন ভাঙারির দোকানে রাজনৈতিক দলকে সরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা নেই : আনন্দবাজারকে জামায়াতের আমির আগামী তিন মৌসুমের জন্য আইপিএলে যে ১৩ ক্রিকেটারের নাম দিল বিসিবি স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েও কাজ থামিয়ে রাখেননি অভিনেত্রী হিনা খান নগরীতে সন্ত্রাসি কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধে ১১ জন গ্রেপ্তার তানোরে সার বিতরণে অনিয়ম ও পাঁচার রোধে হট্টগোল মারপিট দুর্গাপুরে হোজা নদী পুন:খনন ও দখলমুক্ত দাবিতে ইউএনও’কে স্মারকলিপি রাজশাহীতে সমন্বয়ক পেটানোর ব্যাখ্যা দিল মহানগর ছাত্রদল আঘাতের দাগে সম্পর্কের রূপান্তর ! রাজু আহমেদ তানোরে শিক্ষক সমিতিকে নিজ পকেটে রাখতে মরিয়া বিএনপি নেতা মিজান অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে চান জেড আই খান পান্না নগরীতে বিএনপি নেতাকে ছুরিকাঘাত আগামী ২৯ নভেম্বর খুলছে রাজশাহী সুগার মিল জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্মরণে স্মরণসভা রাজশাহীতে যুবলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ১১ বাগমারা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবু তালেবের ইন্তেকাল তানোরে মসজিদের এসি অফিসার্স ক্লাবে, ইমামের অর্থ আত্নসাৎ প্রমান পেয়েছে তদন্ত কমিটি সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তানোরে বিএনপির কর্মীসভা নগরীতে ছাত্রলীগ নেতাসহ বিভিন্ন অপরাধে ৮ জন গ্রেপ্তার লীজকৃত পুকুর দখল, মালিককে বুঝিয়ে দিতে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ
নগরীতে টিটিসির অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ১৩ অভিযোগ প্রমাণিত

নগরীতে টিটিসির অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ১৩ অভিযোগ প্রমাণিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের (টিটিসি) অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার এসএম এমদাদুল হকের বিরুদ্ধে ওঠা ১৩টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। অভিযোগগুলো ওঠার পর তাকে পাবনা টিটিসি থেকে রাজশাহীতে বদলি করা হয়। এখানে এসেও তিনি শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে বেপরোয়া আচরণ করে যাচ্ছেন। গত ২০ মার্চ রাজশাহী টিটিসির ল্যাব থেকে ২৯টি কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ চুরির ঘটনায় নতুন করে বিতর্কের মুখে পড়েছেন অধ্যক্ষ এসএম এমদাদুল হক।

রাজশাহী টিটিসি সূত্র জানাচ্ছে, পাবনা টিটিসিতে থাকার সময় অনিয়ম দুনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এমদাদুল হক। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো বিভাগীয় শহর রাজশাহীর টিটিসিতে বদলি করা হয়। তিনি রাজশাহীতে যোগ দেন ৯ জুলাই। এখানে এসে প্রশিক্ষনার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা ২০ লাখ টাকা সরকারি হিসাবে জমা দিতে গড়িমশি করছিলেন। তিনি এক নোটিশে ১৩ জন প্রশিক্ষককে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সরকারি বাসভবন ছাড়তে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে প্রাপ্যতা না থাকার পরও ওই সব বাসা অপেক্ষাকৃত জুনিয়র প্রশিক্ষকদের বরাদ্দ দেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ এসএম এমদাদুল হক বলেন, পাবনায় যেসব অভিযোগ করা হয়েছিল সেগুলো মিথ্যা ছিল। আর রাজশাহীতে যাদের বাসা ছাড়ার কথা বলা হচ্ছে তারাই অনিয়ম করে বাসায় ছিলেন। তাই বের করা হয়েছে। অধ্যক্ষ বলেন, সারা বাংলাদেশে আমার মতো পরিশ্রমী অধ্যক্ষ একজনও নেই। তাই আমার বিরুদ্ধে সব সময় ষড়যন্ত্র হয়। এই যে কম্পিউটার ল্যাবে চুরির ঘটনা ঘটল, সেখানেও ষড়যন্ত্র রয়েছে। এটা আমাকে বেকায়দায় ফেলতে করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, পাবনা টিটিসির অধ্যক্ষ থাকাকালে এসএম এমদাদুল হকের বিরুদ্ধে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দকৃত বিপুল অর্থ লোপাটের অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে গত জুলাই মাসে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো থেকে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। তদন্ত কমিটি এসএম এমদাদুল হকের বিরুদ্ধে আনীত দুই ধরনের মোট ৫৩টি অভিযোগের মধ্যে ১৪টির বিস্তারিত তদন্ত করেন। এসব অভিযোগের মধ্যে ১৩টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। প্রমাণিত অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিভিন্ন ট্রেডের প্রশিক্ষনার্থীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করা, টিটিসির ল্যাবের এসি খুলে নিয়ে নিজের বাসায় লাগানো, একজন সিনিয়র প্রশিক্ষককে শারীরীকভাবে হেনস্থা করা, স্বজনপ্রীতি, দাপ্তরিক অনিয়ম দুনীতি, অধীনস্তদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও দূরে‌্য বদলির নামে টাকা আদায়। এছাড়া কর্মচারীদের হয়রানিসহ আরও কিছু অভিযোগের সত্যতা মেলে।

এরপর অধ্যক্ষ এসএম এমদাদুল হকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে তার সুম্পষ্ট ব্যাখ্যা চাওয়া হলেও তিনি তা তদন্ত কমিটিকে দেননি। ফলে গত ৮ ডিসেম্বর জনশক্তি ব্যুরোর সাবেক পরিচালক প্রশাসন (উপ-সচিব) ডিএম আতিকুর রহমান অধ্যক্ষকে শোকজ করেন। এতে অধ্যক্ষকে তিনদিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। এর আগেই তিনি রাজশাহীতে যোগ দেন। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলেও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমুলক পদক্ষেপ নেয়নি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এখন রাজশাহীতে সবার সঙ্গে বেপরোয়া আচরণ করছেন তিনি।

এদিকে গত ২০ মার্চ রাতে রাজশাহী টিটিসির ল্যাবের ২৯টি কম্পিউটারের সিপিইউ’র ভেতর থেকে হার্ডডিস্ক, প্রসেসর, র‌্যামসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ চুরির রহস্যজনক ঘটনা ঘটে। একদিন পর ২২ মার্চ রাতে টিটিসির ল্যাব প্রশিক্ষণ ভবনের শৌচাগারের ফলস ছাদের ভেতর থেকে এসব যন্ত্রাংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, সুরক্ষিত ল্যাব ভবন থেকে এভাবে কম্পিউটারের সকল যন্ত্রাংশ চুরির ঘটনা রহস্যজনক। এর সঙ্গে টিটিসির লোকেরাই জড়িত। কারা জড়িত তা তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নগরীর শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম । তিনি বলেন, রহস্যজনক এ চুরির ঘটনার রহস্য উদঘাটনে টিটিসির ছয়জন প্রহরীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এর আগে অধ্যক্ষ নিজেই বাদী হয়ে চুরির এ ঘটনায় একটি মামলা করেছেন।

অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণের পরও কেন তার বিরুদ্ধে এতদিনেও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি তা জানতে চাইলে জনশক্তি ও প্রশিক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) হাসান মাহমুদ বলেন, তিনি কিছুদিন আগে দায়িত্ব নিয়েছেন। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এখনও আরও অভিযোগের তদন্ত চলমান আছে। তদন্ত করছেন পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক মাহবুব রশীদ তালুকদার। সব তদন্ত শেষ হলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। তদন্ত কমকর্তা মাহবুব রশীদ তালুকদার জানান, তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে তিনি এই বিষয়ে এখনই কোন মন্তব্য করতে পারবেন না। আজকের তানোর

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.